খুলনার রূপসা ঘাটে চরম অব্যবস্থাপনা, ভোগান্তি

১ সপ্তাহে আগে
ভাঙাচোরা পন্টুন, যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত টোল আদায়, কৌশলে রাজস্ব ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ খুলনার নদীপথে সবচেয়ে বেশি মানুষ পারাপার হওয়া রূপসা ঘাটে। তিন সংস্থার বিরোধে চলছে একাধিক মামলাও।

নদীপথে খুলনা নগরে প্রবেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাট রূপসা। প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এই পথে। তবে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত টোল আদায়, পারাপারে ট্রলার ভাড়া বৃদ্ধি থেকে যাত্রী লাঞ্ছনা ঘাটের নিয়মিত ঘটনা।


রূপসা ঘাটের ভাঙা-চোরা দু'টি পন্টুনের বেহাল দশা। বড় বড় ফাঁক ফোকর আর উচু নিচু পন্টুনেই যাত্রীরা পড়ে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি ভাঙাচোরা পন্টুন থেকে পড়ে একটি শিশুর মৃত্যুও হয়েছে। ওই সময় সতর্কতা ব্যানার টাঙিয়ে এক পাশের পন্টুন ব্যবহার বন্ধের নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে নৌ-যান চালকরা মানেননি সেই নোটিশ। টোল বৃদ্ধি হলেও ঘাটের চরম অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ যাতায়াতকারীরা।
তবে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত টোল আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাট সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদনের কথা জানান ঘাট ম্যানেজার মো. জাহিদুর রহমান। 


তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক টাকা ব্যয় করে গ্যাংওয়েতে কাজ করেছি। আট মাস আগে নতুনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ভাঙা পন্টুন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সরিয়ে নেওয়ার কথা। কিন্তু এসব না হওয়ায় সংকট কাটছে না।’

আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ায় কৈয়া ব্রিজ ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ

এদিকে ঘাটের দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে সিটি কর্পোরেশন, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা পরিষদের মধ্যে। চলছে একাধিক মামলাও। গত বছর সেপ্টেম্বরে কেসিসি থেকে ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জনপ্রতি এক টাকা থেকে দুই টাকা করে টোল নির্ধারণ করে বিআইডব্লিউটিএ। এতে রাজস্ব দ্বিগুণ হওয়ার কথা থাকলেও ঘটছে উল্টো। যেখানে কেসিসি গড়ে প্রতি মাসে পাঁচ লাখ টাকার বেশি টোল আদায় করতো। সেখানে বিআইডব্লিউটএ গড়ে আদায় করেছে দুই লাখ টাকা।


টোল আদায়ের এমন ছন্দপতনের কারণ হিসেবে বর্তমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ খুলনা’র উর্ধ্বতন উপ-পরিচালক মোহা. মাসুদ পারভেজ জানান এক বছরে একাধিক বার দখল পাল্টা দখলেই কারণেই এমন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যান স্যার আশ্বস্ত করেছেন এবং আমাদের আইন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন: খুলনায় জলাবদ্ধতায় ৩ মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন বন্ধ

ঘাটটি টোল মুক্ত করতে ও ফেরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, গণস্বাক্ষর কর্মসূচিসহ বিভিন্ন ভাবে ক্ষোভ জানিয়ে আসছেন স্থানীয় সামাজিক সংগঠন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন