মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই ভাই হলেন- খুলনার দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ রাশেদ ও তার ছোট ভাই শেখ রকিবুল ইসলাম। রায়ের সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বের হন আ. রশিদ ঢালী। রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন তার মরদেহ উদ্ধার হয় খুলনার আড়ংঘাটার তেলিগাতি বাইপাস সড়কের পাশ থেকে। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম ২৪ অক্টোবর অজ্ঞাতদের আসামি করে আড়ংঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেন।
জানা যায়, নিহত রশিদের মেয়ে তিন্নির সঙ্গে ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর বিয়ে হয় রাশেদের। বিয়ের পর রাশেদ জানতে পারেন, তার শ্বশুর নেশাগ্রস্ত এবং বেকার। সংসারের খরচ চালাতে তিনি শ্বশুরকে ইজিবাইক কিনে দেন, দেন খরচের টাকাও। কিন্তু কিছুদিন পর স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ির মাদকাসক্তির বিষয়টি জানতে পারেন রাশেদ। একপর্যায়ে শ্বশুরের কাছে পাওনা টাকা চাইলে সময়ক্ষেপণ শুরু হয়। পরে ক্ষোভে-ঘৃণায় রাশেদ ছোট ভাই রকিবুলকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরকে কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় রাশেদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জুবায়ের হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ২
ঘটনার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর আড়ংঘাটা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম রাশেদ ও রকিবুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার তাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।