মানববন্ধনে প্রতিবাদকারী ক্রিকেটাররা তাদের ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। সেই দাবির মধ্যে রয়েছে- সাত দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ও সিনিয়র ডিভিশন লিগ শুরুর তারিখ ঘোষণা, বার্ষিক ক্রীড়া ক্যালেন্ডার প্রণয়ন, রেলিগেশন ব্যবস্থা চালু, কোচ ও খেলোয়াড় নির্বাচনে স্বচ্ছতা, এবং মাঠে বাণিজ্যিক মেলা নিষিদ্ধ করা। দাবিগুলো না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া খুলনা জেলা দলের ক্রিকেটার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুধু আশ্বাস শুনছি, বাস্তবে কোনো উদ্যোগ নেই। খেলাধুলার ধারাবাহিকতা না থাকলে খেলোয়াড় তৈরিও বন্ধ হয়ে যাবে।'
খুলনার সিনিয়র ক্রিকেট কোচ আজিজুল ইসলাম জুয়েল বলেন, 'একটা জেলা শহরে এতদিন ধরে ক্রিকেট লিগ না হওয়া খুবই দুঃখজনক। তরুণরা মাঠে ফিরতে চাইলেও সুযোগ পাচ্ছে না।'
আরও পড়ুন: সিলেটে বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনুশীলনে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড 'এ' দল
আজিজুল ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আমরা আরও বড় কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।'
ক্রিকেট আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাসিনুল ইসলাম নিক বলেন, 'খেলাধুলা চালু না থাকলে শুধু খেলোয়াড় নয়, আম্পায়ার, কোচ এমনকি ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। দ্রুত লিগ শুরুর সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা দরকার।'
খুলনায় সর্বশেষ ক্রিকেট লিগ হয়েছিল ২০২২ সালে। এরপর আর প্রিমিয়ার, প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়ায়নি। সম্প্রতি তৃতীয় বিভাগ লিগ শুরু হলেও দ্বিতীয় বিভাগ নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। লিগ নিয়ে আয়োজিত সভায় ১৬টি ক্লাবের মধ্যে ৬টি উপস্থিত ছিল না। আর ৮টি ক্লাব আপত্তি তোলে। ফলে পুরো মৌসুম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। অবিলম্বে খেলা মাঠে ফেরাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ আশা করছেন ক্রিকেটাররা।
]]>