জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানিয়েছে, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে খুলনা জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর প্রাপ্যতা এক লাখ ৬৩ হাজার ৩১টি, এর বিপরীতে চাহিদা এক লাখ ৫৬ হাজার দুইশত ২৮টি এবং উদ্বৃত্ত থাকবে ছয় হাজার সাতশত ৪৬টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম জানান, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও খুলনায় চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর সংখ্যা বেশী আছে। এতে বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
খুলনার ৯টি উপজেলায় গড়ে উঠেছে ঈদকে কেন্দ্র করে অস্থায়ী পশুর হাট। এসব হাটে ইতোমধ্যে পশু ওঠা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ হাট বসাচ্ছেন ঈদের আগের তিন দিন, কেউ দুই দিন, আবার কোথাও কোথাও সপ্তাহব্যাপী পশু কেনাবেচা হবে। বিশেষ করে রূপসা, দিঘলিয়া, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, তেরখাদা, ফুলতলা, কয়রা, বটিয়াঘাটার হাটগুলোতে গরু-ছাগলের পাশাপাশি ভেড়া ও মহিষও উঠছে। এদিকে আগামী পহেলা জুন থেকে টানা ঈদুল আজহার দিন ভোর পর্যন্ত খুলনা মহানগরের জোড়াগেট পশুর হাট বসবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় দেড় টনের ‘ঈশা খাঁ’, দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ
প্রতিটি হাটেই স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পশু পরীক্ষা ও দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পশুর হাটগুলোতে মোতায়েন থাকবে ভেটেরিনারি চিকিৎসক, যারা গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সনদ প্রদান করবেন। স্বাস্থ্যসনদ ছাড়া কোনো পশু কেনাবেচা না করতে হাট ইজারাদারদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছরের মতো এবারও নগরবাসী এবং গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা স্থানীয় হাটেই বেশি ভরসা রাখছেন। হাটে দেশি গরু, ছাগলের পাশাপাশি কিছু ভারতীয় পশুও দেখা যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে এবার দেশি পশুর জোগান বেশি থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনার কবে কোথায় পশুর হাট :
শুক্রবার বটিয়াঘাটার ভান্ডারকোট (কুটিরহাট), কয়রার বাগালি এবং রূপসার আমতলায় হাট হয়।
শনিবার কয়রার ইসলামপুর ঈদগাহ মাঠে বসছে হাট। রোববার ফুলতলা বাজার ও পাইকগাছার চাঁদখালিতে জমে উঠবে পশুর বেচাকেনা। সোমবার আবার রূপসার আমতলা ও ডুমুরিয়ার আঠারো মাইলে পশুর হাট বসবে। মঙ্গলবার দাকোপের লাইডোব বাজারে গরু-ছাগলের হাট বসবে। বুধবার দিঘলিয়ার মোল্লাডাঙ্গা, দাকোপের চালনা বাজার এবং কয়রার ইসলামপুর ও বাগালিতে একযোগে হাট বসবে। বৃহস্পতিবার হাট বসবে ডুমুরিয়ার খর্নিয়া ও শাহাপুর এলাকায়।
এছাড়া ঈদের আগের তিন থেকে পাঁচদিন যেসব জায়গায় হাট বসবে সেগুলোর মধ্যে খুলনা মহানগরের জোড়াগেট, দিঘলিয়া উপজেলার যোগীপোল বালুর মাঠ, পথের বাজার, মজিদ কলেজ মাঠ, পাইকগাছা গদাইপুর বাজার, বাকা বাজার ও কাশিমনগর, বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া, তালপাড়া রয়েছে।