রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৩ জুন) দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে হরিণটানা থানা পুলিশ। অভিযানে নিহতের মোবাইল ফোন ও লুণ্ঠিত ইজিবাইকও উদ্ধার করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১১ জুন জাহিদুরের ছেলে কিবরিয়া হাওলাদার তার বাবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে হরিণটানা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২২ জুন কেডিএ ময়ূর আবাসিক এলাকার একটি পরিত্যক্ত প্লটে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরিধেয় বস্ত্র দেখে পরিবারের সদস্যরা লাশটি জাহিদুর হাওলাদারের বলে শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নিজ হাতে সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেললেন হাসনাত
ঘটনার পর হরিণটানা থানায় হত্যা, লাশ গুম, চুরি ও সংঘবদ্ধ অপরাধের ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ খুলনা, বাগেরহাট ও যশোরে একযোগে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিরাজুল ইসলাম হৃদয় (১৯), বাপ্পী খান ওরফে রায়হান ওরফে চিতা (২০), নাজমুল গাজী ওরফে লাদেন (২৫), ইকবাল গাজী (৩০) এবং আসাদুল মোল্লা (২৮)। তাদের মধ্যে কেউ খুলনা জেলার দাকোপ ও কেউ যশোরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, তারা কেডিএ ময়ূর আবাসিক এলাকায় ঘোরার কথা বলে গল্লামারী থেকে জাহিদুরের ইজিবাইক রিজার্ভ নেয়। সুযোগ বুঝে ভেতরে ঢুকে ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতে গেলে জাহিদুর বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে থানায় অতীত অপরাধের রেকর্ড যাচাই চলছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
]]>