খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় দুই ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড

৩ সপ্তাহ আগে
অর্থ আত্মসা‌তের অভি‌যোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত দুই জনকে ১০ বছ‌র এবং অপর একজন‌কে ৩ বছ‌রের সশ্রম কারাদণ্ড দি‌য়ে‌ছেন। পাশাপা‌শি তা‌দের তিনজন‌কে অর্থদণ্ড ও অনাদা‌য়ে পৃথক মেয়া‌দে সাজা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদাল‌তের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা ক‌রেন। রা‌য়ের বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন ওই আদাল‌তের বেঞ্চ সহকারী মো. ইয়া‌ছিন আলী।


সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন: মেসার্স আকবর আলী সন্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রবিউল হক বিশ্বাস এবং চেয়ারম্যান মো. শফিউল হক বিশ্বাস। তাদের দুজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুজনকে ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ মামলার অপর আসামি দৌলতপুর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার প্রাক্তন অফিসার (অগ্রিম) এস এম এমদাদুল হককে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।


শুনানি চলাকালে মো. রবিউল হক বিশ্বাস ও মো. শফিউল হক বিশ্বাস পলাতক রয়েছেন। অপর আসামি এস এম ইমদাদুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।


আরও পড়ুন: ৫ দিনের রিমান্ডে ফারইস্টের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম


আদালতের সূত্র জানায়, মেসার্স আকবর আলী সন্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম এবং চেয়ারম্যান মো. শফিউল হক বিশ্বাস পরস্পরের যোগসাজসে অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার আশায় অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬০ টাকা মূল্যের পাট আত্মসাৎ করেন।


এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপসহকারী পরিচালক মোহা. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক মোহ. মোশাররফ হোসেন ৪ বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। এদের মধ্যে আসামি সোহেল হোসেন জোয়াদ্দারের মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।


আদালত সূত্র আরও জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামি রবিউল হক বিশ্বাস এবং শফিউল হক বিশ্বাসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ঘোষণাও দেন আদালত।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন