খুলনা মেডিকেলের হিমঘরের ফ্রিজ নষ্ট, বরফে শোয়ানো মরদেহ!

২ সপ্তাহ আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার অন্যতম ভরসার স্থল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিদিনই এখানে আসেন সড়ক দুর্ঘটনা, ফিজিক্যাল অ্যাসল্ট এবং সাধারণ অসুস্থতার শিকার বহু রোগী। অনেকেই মৃত্যুর কাছে হার মানেন। তবে মৃত্যুর পরও যেন শান্তি মিলছে না এই হাসপাতালের হিমঘরে।

হাসপাতালের মর্গে থাকা তিনটি ফ্রিজের মধ্যে দুটি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। তৃতীয় ফ্রিজটির ৬টি ট্রের মধ্যে সচল মাত্র ২টি। ফলে একাধিক মরদেহ একসঙ্গে সংরক্ষণের প্রয়োজন হলে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়েই ট্রলি বা মেঝেতে রেখে, ফ্যান চালিয়ে ও বরফ দিয়ে মরদেহ ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।


এ পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সেই পরিবারগুলো, যাদের স্বজনরা পোস্টমর্টেমের অপেক্ষায় মর্গে পড়ে আছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মরদেহ হিমঘরে সংরক্ষণ করাই নিয়ম, কিন্তু ফ্রিজ বিকল থাকায় মর্যাদার সেই বিদায়টুকুও যেন অধরা। বিশেষ করে দুপুর আড়াইটার পর চিকিৎসক না থাকায় ময়নাতদন্ত হয় না এখানে। ফলে বিকেলসহ রাতেও এখানে মরদেহ রাখতে হয়। রাত প্রতি সরকারি ফি ১ হাজার টাকা হলেও ফ্রিজ নষ্ট থাকায় বাহির থেকে বরফ কিনতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: শহীদ শ্রাবণের মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি

মরদেহ আনা নেওয়া কাজে যুক্ত হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী আব্দুর রহিম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা, মারামারি বা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে সেটি হাসপাতালের ফ্রিজে রাখা হয়। এখানে হাসপাতালের একটি ও কলেজের দুটি ফ্রিজ রয়েছে। এত দিন হাসপাতালের ফ্রিজ সম্পূর্ণ নষ্ট ছিল। তাই বরফ দিয়ে ফ্যান চালিয়ে রাখা লাগত। ১০-১২ দিন হয়েছে ফ্রিজের ৬ টি চেম্বারের মধ্যে দুটি মেরামত করা হয়েছে।’


তিনি আরও বলেন, এখনও দুটির বেশি মরদেহ আসলে বরফ দিয়ে রাখা লাগবে।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রায় ৩-৪ মাস যাবত হাসপাতালে ফ্রিজটি নষ্ট ছিলো। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে সমাধান না মেলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজ তত্ত্বাবধানে ফ্রিজের দুটি চেম্বার মেরামত করেছে। ফ্রিজটি ২০১৮ সালে কেনা হয়েছে। এক বছরের ওয়ারেন্টি ছিলো। বাকি চেম্বারগুলো এক মাসের মধ্যে মেরামত করার আশা ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি বলেন, ৩টি ফ্রিজের মধ্যে দুটি কলেজের আর একটি হাসপাতালের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন