খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর, বাস শ্রমিকদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৩ সপ্তাহ আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এক পর্যায়ে বাস মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক সেনা, নৌ ও পুলিশ সদস্য কাজ করছে।


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, গোপালগঞ্জ থেকে রাজীব পরিবহনের বাস করে খুবির এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিল। বাসে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করে বাস শ্রমিকরা। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী অন্যদের জানালে তারা সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে অবস্থান নেয়। সেখানে কথা কাটাকাটির জের ধরে পরিবহন শ্রমিকরা আবারও অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় খুবির কয়েকজন ছাত্র ও দুই জন শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করা হয়।
 

আরও পড়ুন: দু-এক দিনের মধ্যে সুখবর আসছে: জামায়াতের আমির


এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় যান। সেখানে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি-তদন্ত হাওলাদার সানওয়ার মাসুম বলেন, রাজিব পরিবহনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুলনায় আসছিলেন। তাকে পরিবহনের সদস্যরা বসার ছিট দেয়নি। পরিবহনের সদস্যরা তাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে মারধর করে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাকে ছাড়িয়ে নিতে বাসস্ট্যান্ডে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের হাত লম্বা, কিন্তু আইনের হাত আরও লম্বা: অ্যাটর্নি জেনারেল


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ডক্টর নাজমুস সাদাত জানান, অবিলম্বে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী ও অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনকারীদের অস্ত্রসহ গ্রেফতার, রাজীব পরিবহন বন্ধ ঘোষণা এবং আগামীকাল সকাল ১০ টার মধ্যে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে গেছে শিক্ষার্থীরা। রাত পৌনে নয়টা থেকে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন