খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও মহানগরে এ বছর মোট ৪ হাজার ৮১১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শতাধিক প্রতিমাশিল্পী এরইমধ্যে দেবী দুর্গাসহ গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) খুলনার বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব জায়গাতেই প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। কোথাও চলছে শেষ মুহূর্তের রং তুলি ও সাজসজ্জার কাজ।
খুলনার সোনাপট্টি মন্দিরে ভারতের তামিল মন্দিরের আদলে বিশাল মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বাজার কালীবাড়ী মন্দিরেও ভারতীয় মন্দিরের অনুকরণে প্যান্ডেল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি আর্য্য ধর্মসভা, শীতলাবাড়ী, শিববাড়ী, দোলখোলা ও দৌলতপুরসহ নগরীর বিভিন্ন মন্দিরকে বিশেষ সাজে সাজানো হয়েছে।
খুলনা জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের তালিকা অনুযায়ী, খুলনা মহানগরে ১২০টি এবং জেলায় ৮৫৭টি মণ্ডপে পূজা হবে। সবমিলে খুলনায় মোট ৯৭৭টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় ১০৫টি বেশি।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: ২৮৫৭ মণ্ডপের নিরাপত্তায় ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিভাগের সবচেয়ে বড় পূজা মণ্ডপ তৈরি হয়েছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খরসংগ এলাকার কালার বটতলা মন্দিরে। এখানে সর্বাধিক ২০২টি প্রতিমা নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। বিভাগজুড়ে ৪ হাজার ৬৯১টি এবং খুলনা মহানগরে ১২০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭৪৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ১ হাজার ৭১২টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ২ হাজার ২৩২টি সাধারণ মণ্ডপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি জেলায় পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মণ্ডপকেন্দ্রিক অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারকে অবজারভার ও থানার ওসিকে রেসপন্ডার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পোশাকধারী পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রশান্ত কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘খুলনায় উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। প্রশাসনও পূজা উদযাপনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। আশা করছি, পাঁচ দিন জুড়ে একই পরিবেশ বজায় থাকবে।’