মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চাল, ভোজ্য তেল, গ্যাস, ওষুধ, ডায়াগনস্টিক, আলু, দেশি পেঁয়াজ, সবজি, মুরগি ও ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম যাচাই করা হয়। ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয় এবং বেশি দাম নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে রূপসার জাবুসা চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স কাজী সোবহান অটোরাইস মিলকে নকল পণ্য উৎপাদন ও মিথ্যা বিজ্ঞাপনের দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই জেলার রূপসা উপজেলার তিলক এলাকায় সহকারী পরিচালক দিনারা জামানের নেতৃত্বে কল্পনা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে অবৈধভাবে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবের নেতৃত্বে মহানগরীর নিরালা ও বাগমারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিত্যসদাইকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে তিন হাজার টাকা এবং মেসার্স রিজিয়া মেডিকেল হলকে যথাযথ পণ্য সরবরাহ না করার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: সবজির দাম এত বেড়ে যাওয়ার কারণ জানা গেল
যশোরে সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে শার্শার বাগআচড়া বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে শীমুল সিডস ও কৃষি বীজ ভাণ্ডারকে পৃথকভাবে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঝিনাইদহে সহকারী পরিচালক নিশাত মেহেরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার হামদহ বাজারে আল মদিনা হোটেলকে অবৈধভাবে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কুষ্টিয়ায় সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলীর নেতৃত্বে সদর উপজেলার বটতৈল দক্ষিণপাড়ায় সোয়াদ মণ্ডল হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদনের দায়ে তিন হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ১২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মাগুরায় সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে সদর উপজেলার জামরুল তলা বাজারে মেসার্স সুভাষ স্টোরকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার হাসপাতাল রোডে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট রাখার দায়ে ডিজিটাল মডার্ন ডায়াগনস্টিককে ২৫ হাজার এবং সিটি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাতক্ষীরায় সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার আবাদের হাট বাজারে আবাদের হাট ট্রেডার্সকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নড়াইলে সহকারী পরিচালক শামীম হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার মির্জাপুর বাজারে মেসার্স ওমর ফারুক স্টোর ও মেসার্স বৃষ্টি চানাচুরকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে তিন হাজার টাকা করে মোট ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ১৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
এ ছাড়া বাগেরহাটে সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানার নেতৃত্বে সদর উপজেলার দেপাড়া ও সদর বাজারে অভিযান চালিয়ে বিসমিল্লাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও অবৈধভাবে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ৫ হাজার, কেয়া ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ১০ হাজার এবং মা কসমেটিকসকে অবৈধ পণ্য বিক্রির দায়ে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
সব মিলিয়ে ১৭ প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অধিদফতর জানিয়েছে, ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।