বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ৭ জানুয়ারি কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে করে ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেন। গুলশানে নিজের বাসা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে এই সময় বিপুল সংখ্যক জনগণ তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন অন্যায় আক্রোশের শিকার হওয়া দেশনেত্রীর প্রতি জনগণের অমূল্য এই ভালোবাসা প্রকাশের কারণে সেদিন রাস্তায় অনেক যানজট হয় এবং অনেকের জন্য বিভিন্ন অসুবিধার কারণ হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে এ জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিএনপির মহাসচিব অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকাবাসী এই সাময়িক অসুবিধাকে সুনজরে দেখবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশবাসী অবগত আছেন যে, বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে দেশনেত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশবাসীর এটাও স্মরণ আছে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোধা বেগম খালেদা জিয়া কোনো অন্যায়ের প্রতি আপস না করে, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিগত সরকারের দেয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসক প্যাট্রিক কেনেডি সম্পর্কে যা জানা গেল
তিনি আরও বলেন, কারাগারে থাকাকালীন উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার (বেগম জিয়া) শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং ওনার পরিবার থেকে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশনেত্রী কারাগার থেকে মুক্তি পান বটে; কিন্তু শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তাকে বিদেশে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
বিএনপির একটি ঊর্ধ্বতন সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রাকে কেন্দ্র করে যানজট রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে লন্ডনে চিকিৎসার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। ওইদিন শাহজালাল বিমানবন্দরে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী, অনুসারীরা রাজপথে অবস্থান করায় রাজধানীর উত্তরাংশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করেন।