বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোরে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৪০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন:ইরান-ইসরাইল সংঘাতে হিজবুল্লাহর জড়ানো নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
আহতদের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেয়ারশেবার সোরোকা মেডিকেল সেন্টারের ৭০ জনেরও বেশি লোক রয়েছেন। যেখানে জরুরি দলগুলো রোগীদের সরিয়ে নেয়ার সময় বিস্ফোরণ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।
তবে ইসরাইলের বিয়ারশেবার সোরোকা মেডিকেল সেন্টারে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার যে দাবি ইসরাইল করেছে তা অস্বীকার করেন ইরানের কর্মকর্তারা এবং ইরানি মিডিয়া।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ‘হাসপাতালটির কাছাকাছি হামলা চালিয়েছে ইরান। এই বিস্ফোরণের শকওয়েভে ক্ষতির মুখে পড়ে হাসপাতালটি। সেখানে ইরান সরাসরি আঘাত হানেনি বলেও দাবি করা হয়।’
ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার সকালে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, তা ছিল সামরিক অবকাঠামোর উপর একটি সুনির্দিষ্ট এবং সরাসরি হামলা। বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে নয়।
এদিকে, হামলার পর, ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে দোষারোপ করেন এবং জানান, ‘সামরিক বাহিনীকে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন, ইসরাইল জানে যে তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য, খামেনির অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়।’
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্টজ বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ‘নির্মূল’ করা দেশটির যুদ্ধ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন:ইরানে ‘আক্রমণ তীব্র’ করার নির্দেশ ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
মার্কিন কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেনিকে হত্যার ইসরাইলি পরিকল্পনা ভেটো দিয়েছিলেন। ট্রাম্প পরে বলেছিলেন, তাকে (খামেনি) হত্যার কোনো পরিকল্পনা নেই। অন্তত এখন নয়।’
সূত্র: পলিটিকো
]]>