খাদ্যে অননুমোদিত ‘গোলাপ ও কেওড়া জল’ ব্যবহারে বিএফএসএর সতর্কবার্তা

১ সপ্তাহে আগে
খাদ্যে অননুমোদিত ‘গোলাপজল’ ও ‘কেওড়া জল’ এর মতো সুগন্ধি ব্যবহারে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএফএসএ।

 

এতে বলা হয়, সম্প্রতি বাজারে গোলাপজল ও কেওড়া জল নামক সুগন্ধির প্যাকেটের লেবেলে ‘খাবার উপযোগী’, ‘ফুড গ্রেড’, ‘খাদ্য আইন অনুসরণ করে প্রস্তুতকৃত’, ভেজিটেরিয়ান খাদ্য মর্মে ‘সবুজ চিহ্ন’ ইত্যাদি অভিব্যক্তি ব্যবহার করে উক্ত সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার উপযোগী মর্মে প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের পণ্যের লেবেলে উক্ত সুগন্ধির উপাদান হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও গোলাপ/কেওড়া ফ্লেভার বা শুধু ফ্লেভার মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে উক্ত সুগন্ধি কীসের তৈরি তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: বিএফএসএর সতর্কবার্তা / মুগ ডালে অননুমোদিত রঙ ব্যবহার, গ্রহণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

 

খাদ্যে অননুমোদিতভাবে কোনো খাদ্য সংযোজন দ্রব্য ব্যবহার অথবা যথাযথভাবে লেবেলিং না করা নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর ২৭ ও ৩২ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। সম্প্রতি গোলাপজল ও কেওড়া জল উৎপাদনকারী কয়েকটি কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় দেখা যায় অননুমোদিত রাসায়নিক (এমনকি কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক) ব্যবহার করে এরূপ সুগন্ধি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

 

এ পরিস্থিতিতে খাদ্যে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে ঘোষিত যে সব সুগন্ধির লেবেলে মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং প্রবিধানমালা, ২০১৭ অনুযায়ী ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক’, ‘অনুমোদিত কৃত্রিম’ অথবা ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম’ সুগন্ধি অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়নি এবং কৃত্রিম সুগন্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সুগন্ধি দ্রব্যের সাধারণ নাম ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ইনডেক্স (আইএনএস) নম্বর উল্লেখ করা হয়নি এমন সুগন্ধি দ্রব্যের উৎপাদন ও বিপণন থেকে বিরত থাকার এবং বাজার থেকে প্রত্যাহারের জন্য সকল খাদ্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হলো।

 

সব খাদ্য প্রস্তুতকারী/সরবরাহকারীদের (যেমন- রেস্টুরেন্ট, বেকারি, কমিউনিটি সেন্টার, কেটারিং সার্ভিস ইত্যাদি) এ ধরনের কোনো সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে বিএফএসএ আরও জানায়, জনগণকে এ ধরনের যথাযথ লেবেলিং ব্যতীত সুগন্ধি দ্রব্য খাদ্যে ব্যবহার বা ক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন