খাগড়াছড়িতে চলছে ১৪৪ ধারা, থমথমে পরিস্থিতি

৩ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় জেলা সদরের পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলায় ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পুরো জেলায় বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি । শহর ও শহরতলীতে কঠোর নিরাপত্তা প্রদান করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা পুলিশের পাশাপাশি ৩ প্লাটুন আর্মড পুলিশ ও ৭ প্লাটুন বিজিবি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছে। জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া সেনাবাহিনী  সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে দিচ্ছে না। অবরোধের কারনে খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

 

এদিকে নতুন করে জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যানারে তিন পাবর্ত্য জেলায় সড়ক অবরোধের ডাক দেয়া হয়।

 

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির ঘটনা দুর্গাপূজায় প্রভাব ফেলবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

তবে অপর দিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আর খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়া শেষে ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণির এক মারমা কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরের দিন সকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীল নামে যুবকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

 

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুইমারা উপজেলায় সৃষ্ট সহিংসতায় ৩ জন নিহত হন। পুলিশ,সাংবাদিক, সেনাবাহিনীসহ আহত হন অর্ধশতাধিক। বাড়িঘর, দোকানপাঠ এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

 

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির ঘটনায় সতর্ক অবস্থানে রাঙ্গামাটির প্রশাসন, বিশেষ সভা

 

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, অবরোধের কারনে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে । পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন আছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন