রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে ও পূজামণ্ডপে ভোর থেকে মা দুর্গার আগমনী বার্তায় এ আয়োজন করা হয়।
ভোরে শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় মহালয়া। এরপর চন্ডিপাঠ, ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজা-অর্চনা, সমবেত সংগীত, মাতৃ বন্দনা ও সমবেত নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সনাতন ছাত্র যুব পরিষদের আয়োজনে চলছে ধর্মীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সময় শত শত দর্শনার্থী ও ভক্তরা উপস্থিত হন, শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির প্রাঙ্গণে।
খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে দিনভর রয়েছে মহালয়ার সবচেয়ে বড় আয়োজন। সেখানে ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানানোর পর মঙ্গলঘট স্থাপন করা হয়েছে। তাতে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা শেষে অন্য আনুষ্ঠানিকতায় মেতেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজায় শুরু দুর্গাপূজা শেষ হবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে। সেদিন সন্ধ্যায় দেবী দুর্গাকে বিসর্জনে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হবে।
আর পড়ুন: বান্দরবানে ৩২ মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা
খাগড়াছড়ির সনাতন ছাত্র যুব পরিষদের সহ-সম্পাদক বিজয় দেব জানান, বহু বছর ধরে তারা এমন আয়োজন করে যাচ্ছেন। এতে প্রচুর ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সমাগম হয়েছে। এ বছর তারা আরও বড় আয়োজন করেছেন। এতে জেলার শতাধিক সুনামধন্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন।
এদিকে মায়ের আগমনবার্তায় মহালয়া এমন আয়োজনের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় খুশি ভক্তরা ।