খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উপলক্ষে র‌্যালি

২ সপ্তাহ আগে
বৈসাবি উৎসব উদযাপন কমিটির উদ্যোগে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে বৈসাবি উৎসবকে স্বাগত জানিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে সার্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটির আয়োজনে শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বৈসাবি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক রবিশংকর তালুকদার, সদস্য সচিব প্রত্যয় চাকমা। 


র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে নিউজিল্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। শত শত পাহাড়ি নারী-পুরুষের বর্ণিল পোশাকে অংশ গ্রহণে র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরকে রঙিন করে তোলে।


বৈসাবি মানেই রঙে-বর্ণে বৈচিত্র্যময় এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব। বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু, যে নামেই বলা হোক না কেন, এ উৎসব যেন পাহাড়িদের প্রেরণা-পাহাড়ের সংস্কৃতির জাগরণ।


আগামী ১২ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, কিশোরী-ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে ভোরে ফুল তুলে নদী বা খালে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে পূজা নিবেদনের মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় নিজেদের পবিত্রতা কামনা করবে। এছাড়া ফুল দিয়ে ঘরের প্রতিটি দরজার মাঝখানে মালা গেঁথে সাজানো হয়।

আরও পড়ুন: বৈসাবি ঘিরে পাহাড়ি নারীদের ব্যস্ততা এখন কোমর তাঁতে

১৩ এপ্রিল চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিজু আর পরদিন ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালন করবে। একই দিন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হারি বৈসু, বিযুমা ও বিচি কাতাল। ১৪ এপ্রিল খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা ও জেলা প্রশাসনে উদ্যোগে হবে বর্ষবরণের র‌্যালি। 


এ উৎসবে আনন্দেও আমেজ ছড়ায়। এ প্রাণের উৎসব বৈসাবিকে আনন্দমুখর করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই। চাকমাদের ‘বিজু’ মারমাদের সাংগ্রাই আর ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ নিয়ে বৈসাবি। উৎসবের আরও কয়টি বাকি থাকলেও এ উৎসবকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থানে চলছে বৈসাবি মেলা-খেলাধুলা ও র‌্যালিসহ নানা আয়োজন।


১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উৎসব উদযাপন করে আসছে। যা সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের  কাছে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উৎসবের আমেজ

ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে ‘ত্রিপুরা ভাষায় বৈসুক, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু’ নামে এ উৎসব উদযাপন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়। প্রতিবছর বাংলা নববর্ষেও পাশাপাশি পাহাড়ের বসবাসরত বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী ঐতিহ্যবাহী এ দিনটি পালন করে থাকে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন