কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও শেষ হয়নি সেতুর কাজ, খুলনার প্রবেশমুখে লেগে থাকে যানজট

১ সপ্তাহে আগে
খুলনা শহরে প্রবেশের অন্যতম প্রবেশদ্বার গল্লামারী সেতু। যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ২০১৪ সালে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূর নদীর ওপর পুরনো সেতুর পাশে নতুন একটি সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০১৬ সালে কাজ শেষ হলেও নদীর পানির উচ্চতা থেকে মাত্র ৫ ফুট উঁচুতে অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় তা অকেজো হয়ে যায়। গচ্চা যায় সরকারের ৭ কোটি টাকা।

পরে যানজট আরও তীব্র হলে সড়ক বিভাগ ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতিরঝিলের আদলে চার লেনের একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক বছর পর সম্প্রতি কাজ শুরু হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

 

স্থানীয় বাসিন্দা ও যানবাহন চালকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় ময়ূর নদীর দুই পাড়ে প্রতিদিনই অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। একটি সেতু ভাঙা, অন্যদিকে রাস্তাজুড়ে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা, অস্থায়ী কাঁচাবাজার ও অবৈধ স্থাপনার কারণে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে গেছে। ফলে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল সড়ক ব্যবহারকারী চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।

 

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘খুলনা নগরের অন্যতম প্রবেশপথ হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দফতর বা ঠিকাদারের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। বিভিন্ন সময় আন্দোলন, মানববন্ধন, বিক্ষোভ হলেও কোনো লাভ হয়নি।’

 

আরও পড়ুন: মানবতার ফেরিওয়ালা সেই ইলিয়াস এখন ক্যানসারে শয্যাশায়ী

 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং (এনডিই)-এর প্রকল্প পরিচালক বিপ্লব পাল বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের কারণে কিছু জায়গায় কাজ ধীর হয়ে ছিল। এখন কাজে গতি ফিরেছে। আশা করছি, শীঘ্রই সেতু নির্মাণের অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে।’

 

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী তানিমুল হক বলেন, ‘কাজের অগ্রগতি খুবই কম। আমরা কাজ বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি। ঠিকাদার যদি সঠিকভাবে কাজ করে তবে দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে।’

 

এদিকে সাধারণ মানুষ বলছেন, সময় বাড়লেও কাজ শেষ না হওয়ায় খুলনার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ গল্লামারী এলাকায় প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন