নমঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাত ভাই পুকুর পাড়ের পাশে রজব মশলা মিলে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার রজব মশলা মিল মালিক অনেকদিন যাবৎ নিম্নমানের মরিচের সঙ্গে ক্ষতিকর রংসহ বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে আসছে। এমন অভিযোগ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল ও পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নারগিস জাহানের নেতৃত্বে একটি টিম ওই মিলে অভিযান চালান। অভিযানকালে দেখা যায় সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা মিল মালিকের নেতৃত্বে নিম্নমানের মরিচের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ভেজাল মরিচের গুড়া তৈরি করছে এ অভিযোগের সত্যতা মেলে।
এরপর খবর দেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহমানকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি রজব মশলা মিলের মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে ৯ বস্তা নিম্নমানের মরিচ ও ক্ষতিকর রংসহ বিভিন্ন উপকরণ।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
সেইসঙ্গে মিল মালিক রজব আলীকে সতর্কতা করা হয় পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ চলমান থাকলে আর বড় ধরনের জরিমানা ও দণ্ড দেয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সজীব পাল জানান, নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার অংশ হিসেবে মশলা কারখানায় অভিযান চালিয়েছি। কারখানায় অভিযানকালে খুবই নিম্নমানের মরিচের সাথে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে মশলা তৈরি করা হচ্ছে। অভিযানে সেসব উপকরণসমূহ হাতেনাতে জব্দ করেছি। এসব নিম্নমানের গুড়া মরিচ খেলে মানুষের কিডনি ও পাকস্থলির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এমনকি একপর্যায়ে বিকলও হতে পারে।