চলতি মাসের শেষদিকে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর। লাহোর এবং ফয়সালাবাদে অনুষ্ঠিতব্য পাঁচ ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ পরিকল্পনার বড় অংশ। বড় সিরিজকে সামনে রেখে অনুশীলনে ইতোমধ্যে ঘাম ঝরাতে শুরু করেছে টাইগাররা। তবে ভারত-পাকিস্তানের চলমান দ্বন্দ্বে এখন সিরিজই বাদ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানের চলমান পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বিসিবি। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আরও ২-৩ দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে চায় বোর্ড। বিসিবির সূত্রে এটাও জানা গেছে যে নিরাপত্তার অবস্থা সরেজমিনে দেখতে পাকিস্তানে পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে পারে বিসিবি। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক আকরাম খান।
আকরাম খান বলেন, ‘খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সবার আগে। এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে জরুরি। আমরাও সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। আমার মনে হয়, আমাদের আরও ২-৩ দিন অপেক্ষা করে দেখা উচিত পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেলে আমরা অবশ্যই যাব। আমাদের কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে, পাকিস্তান কী বলছে সেটাও আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে। ওদের পরিস্থিতি ওরা আমাদের চেয়ে ভালো জানবে। এটা ওদের সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা যাব কিনা।’
আরও পড়ুন: নাহিদদের ম্যাচের আগে স্টেডিয়াম এলাকায় ড্রোন বিধ্বস্ত, অনিশ্চয়তায়
খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে বিসিবি এবার কোনো ধরনের আপোষ করবে না। বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের কাছে পরিস্থিতির রিপোর্ট নেয়ার পাশাপাশি সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে বিসিবি।
আগামী আগস্টে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। কয়েকদিন আগেই গুঞ্জন উঠেছিল, এই সিরিজে দল পাঠাতে চায় না ভারত। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। দুই পক্ষের মধ্যে এই বিষয়ে কথোপকথন চলছে বলেও জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক।
আকরাম বলেন, ‘বাংলাদেশের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা। ভারতেরও বাংলাদেশে আসার কথা। আবার এশিয়া কাপ আছে। সবকিছু মিলিয়ে, পরিস্থিতি শান্ত না হলে একটু কঠিন হয়ে যাবে। আল্লাহ না করুক, পরিস্থিতি যেন আরও খারাপ না হয়।’