শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ট্রাম্প নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে জানান, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসা একটি খুব বড় মাদক বহনকারী সাবমেরিন ধ্বংস করা হয়েছে। যা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটি একটি সুপরিচিত মাদক পাচার রুট ধরে আসছিল। ওই জলযানটি ফেন্টানিলসহ অন্যান্য মাদকে বোঝাই ছিল।’
হামলার ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাম্প বলেন, ‘দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বেঁচে থাকা দুই সন্ত্রাসীকে আটক ও বিচারের জন্য তাদের মূল দেশ ইকুয়েডর এবং কলম্বিয়ায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে। যদি সাবমেরিনটি আমেরিকার উপকূলে পৌঁছোত, অন্তত ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারত।’
এদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো নিশ্চিত করেছেন, কলম্বিয়ার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘তিনি বেঁচে আছেন জেনে আমরা খুশি এবং আইন অনুযায়ী তার বিচার করা হবে।’
আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলার আরেকটি ‘মাদকবাহী’ নৌযানে মার্কিন হামলায় নিহত ৩
ট্রাম্প শুক্রবার প্রথম এই হামলার ঘোষণা করেছিলেন। ল্যাটিন আমেরিকা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার লক্ষ্যে তার ‘নজিরবিহীন সামরিক অভিযানের’ এটি সর্বশেষ ঘটনা।
ট্রাম্পের মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর সেপ্টেম্বরের পর থেকে ক্যারিবিয়ান সাগরে অন্তত ছয়টি জলযান লক্ষ্য করে মার্কিন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এদের মধ্যে কিছু জলযানের উৎস ছিল ভেনেজুয়েলা।
আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলার আরেকটি ‘মাদকবাহী’ নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩
ওয়াশিংটনের দাবি, তাদের এই অভিযান মাদক পাচারের উপর বড় আঘাত হানছে। তবে এই হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হলেও, তারা যে নিশ্চিত মাদক পাচারকারী ছিলেন, তার কোনো প্রমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি।
]]>