শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টার পর এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের পাশে একটি দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে সিঙাড়া খাচ্ছিলেন পারভেজ। তাদের পাশে সদ্য ভর্তি হওয়া ইংরেজি ও ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বন্ধু ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী ছিলেন। এক পর্যায়ে দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন পারভেজ তাদের উত্ত্যক্ত করেছেন। তারা বিষয়টি প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রক্টরকে জানান।
এরপর প্রক্টর পারভেজকে ডেকে নেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, বন্ধুদের সঙ্গে নিজেদের আলাপের বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করছিলেন, কাউকে উত্ত্যক্ত করেননি। এক পর্যায়ে ওই দুই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হলে পারভেজ ক্ষমাও চান।
আরও পড়ুন: পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিকের নামে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গ্যালারি
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, প্রক্টর ডেকে নেয়ার পর সেখানেই ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পারভেজকে হুমকি দেন। প্রক্টরের অফিস থেকে বেরিয়ে আসার পর কিছু বহিরাগত এসে আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে ধারালো কিছু দিয়ে পারভেজের বুকে আঘাত করে তারা পালিয়ে যান। রক্তাক্ত পারভেজকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এজহার হাতে পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু বাগবিতণ্ডা নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
]]>