পবিত্র ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহ-তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি দিয়েছেন। বরিশাল নগরীতে ঈদের প্রথম দিনেই (৭ জুন) অধিকাংশ পশু জবাইয়ের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
তবে এবারই পশুর বর্জ্য অপসারণে নজির স্থাপন করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। শনিবার (৭ জুন) দুপুর ২টার পর থেকে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা গাড়ি নিয়ে বর্জ্যগুলো অপসারণসহ নগরীর রাস্তাঘাট ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেন। ওইদিন রাত ৮টার মধ্যে পুরো নগরী থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
যদিও অনেক জায়গায় নগরবাসী নিজ নিজ উদ্যোগে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছে। যেখানে পশু কোরবানি করা হয়েছে সেই স্থানটি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক হিসেবে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বাকি বর্জ্য ব্যাগে করে নির্দিষ্টস্থানে রেখে দেয়া হয়।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর ২০২টি নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নগরের বাসিন্দারা নির্ধারিত স্থানেই পশু কোরবানি করেছেন এবং নিজেদের উদ্যোগেও অনেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ভূমিকা রেখেছেন। পশু জবাইয়ের পর দ্রুততার সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাস্তা ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে জীবাণুনাশের ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসিতে ১৩ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ
পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, বগুড়া রোড এলাকা থেকে শুরু করে রাত ৮টার মধ্যে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়। পুরো অপারেশন পরিচালিত হয় ২৫টি ময়লার ট্রাক, দুটি পানির ট্রাক, এবং চারটি পে-লোডারের মাধ্যমে। কাজের জন্য নিযুক্ত ছিল বিসিসির ৭০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আগে থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচশটি করে বর্জ্য বস্তা ও ৫০ কেজি করে ব্লিচিং পাউডার পাঠানো হয়েছিল। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা পুরো নগরী পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি।’
এ উদ্যোগ নগরবাসীরও প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মান ছিল অনেক ভালো। বর্জ্য পড়ে থাকার কারণে গন্ধ, রোগবালাই বা পরিবেশ দূষণের মতো সমস্যা হয়নি।
বিসিসির এই সফলতা দেশের অন্যান্য নগর কর্তৃপক্ষের জন্য একটি উদাহরণ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।