কোরবানির ঈদ ঘিরে সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র, ঝুঁকিতে খামারিরা

৫ দিন আগে
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পশু চোরাচালান চক্র। রাতের অন্ধকারে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে দেশে আসা চোরাই পশুর চালান নির্দিষ্ট বাজারে টাকার বিনিময়ে বৈধ হয়ে যাচ্ছে। চোরাচালান হওয়া এসব পশু ঢুকছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে। এতে দুশ্চিন্তায় প্রান্তিক কৃষক, খামারি ও ব্যবসায়ীরা। লাগাম টেনে ধরতে বিজিবি চেষ্টা চালালেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া চোরাকারবারিরা।

রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে ঠিক তখনই যেন দিনের শুরু পশু চোরাকারবারিদের। ভারত সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে গরু মহিষসহ নানা ধরনের পশুর চালান নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারলেই মিলে পারিশ্রমিক। সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিতে নানা কৌশলে এসব চোরাকারবারিরা সিলেট অঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে বছরের পর বছর করছে ব্যবসা।

 

অন্যদিকে বিজিবির অভিযান প্রায়ই ধরা পড়ছে পশুর চালান। তবুও থামছেনা অসাধু এ কারবার। পশু বোঝাই এমনই একটি ট্রাককে অনুসরণ করে সময় সংবাদ। ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশুর চোরাচালান বাড়াতে সক্রিয় চক্রের সদস্যরা।

 

আরও পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তে বেপরোয়া চোরাচালানিরা, বিজিবির কড়া টহল

 

ভারতের অভ্যন্তরে নানা কৌশলে লুকিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত আনা হচ্ছে এসব পশু। রাতে চালান হওয়া পশু দিনের আলোতে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি ও পরিবহন হচ্ছে প্রকাশ্যেই। জানতে চাইলে ট্রাকটির চালক জানান, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে অসংখ্য গরু। এরপর ছাতক, বোগলা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির জন্য।

 

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ভারতঘেষা বোগলা বাজারে সময় সংবাদ। বিভিন্ন ফার্মের নাম দিয়ে বাজারে রয়েছে পশু রাখার অস্থায়ী ঘর। অভিযোগ আছে এখানেই মিলে ভারতীয় গরু মহিষের দেশি ছাড়পত্র।

 

এলাকাবাসী বলছেন, সবকিছুই চালাচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এটি সবার চোখের সামনেই ঘটছে। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাকে করে গরু আসে। পায়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসা হয় গরু।

 

বাজারে ভারতীয় পশু ঢুকে পড়ায় দুশ্চিন্তায় প্রান্তিক কৃষক, খামারি ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ভারতীয় গরু আসলে দেশি গরুর দাম কমে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশি খামারিরা।

 

আরও পড়ুন: বিজিবির অভিযানে ২০২৪ সালে ২১৮৪ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

 

অবশ্য, চোরাকারবারিদের ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চেকপোস্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। যাতে চোরাচালান রোধ করা যায়।

 

সিলেট ৪৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, যারা চোরাই পণ্য বহন করে তাদের ধরা যায়, তবে মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। কারণ তাদের চিহ্নিত করাটা মুশকিল। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।

 

সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বিছানাকান্দি, প্রতাপপুর, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারসহ বেশ কিছু সীমান্ত এলাকা হয়ে পশু চোরাচালানের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন