কোরবানির আগে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরির পাঁয়তারা!

১ সপ্তাহে আগে
কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে গর্ত করে মজুত করা হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্রুড লবণ। এতে পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও বাড়ছে লবণের দাম, এমন অভিযোগ মিল মালিকদের। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য ৮ কেজি হিসাবে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন। তার বিপরীতে ১১ মে পর্যন্ত মাঠ ও মিল পর্যায়ে ক্রুড লবণ মজুদ রয়েছে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন।

 

তবে তারপরেও বেড়েছে চামড়ায় ব্যবহৃত লবণের দাম। এপ্রিলে ৭৪ কেজির প্রতি বস্তা লবণ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে সাড়ে আটশ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম মাঝিরঘাটের মেসার্স জামাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, চামড়ায় ব্যবহৃত লবণের দাম এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে গত দুই-এক মাস কিছুটা বাড়তি ছিল।

 

আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও কক্সবাজারে লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

 

কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া-চকরিয়া-পেকুয়া-মহেশখালী-কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেই লবণের ক্রুড উৎপাদন হয়ে থাকে। পরবর্তীতে সেই ক্রুড নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামের বিভিন্ন মিলে। নানা প্রক্রিয়ায় ক্রুড পরিশোধন করে তৈরি হয় লবণ।

 

মাঠের কৃষকেরা উৎপাদিত ক্রুড ছেড়ে দিলেও মধ্যস্বত্বভোগীরাই সেই ক্রুড কিনে মাটির নিচে মজুত করছে বলে অভিযোগ মিল মালিকদের। বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নূরুল কবির বলেন, যেখানে লবণ উৎপাদিত হয়, সেখানে কিছু দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির লোক থাকে। যাদের কারণে দামে কারসাজি হয়।

 

আরও পড়ুন: লবণের দাম বাড়ায় ঈদে চামড়া বেচাকেনা নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা


মাঠ পর্যায়ের মজুদদাররা ধীর গতিতে ক্রুড পাঠানোর কারণে লবণ উৎপাদনে কিছুটা সংকট হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম মাঝিরঘাটের মেসার্স জনতা সল্টের মালিক মো. বখতিয়ার বলেন, মজুতদারদের মজুত করে রাখা লবণ বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে বিসিককে। তাহলে লবণের দাম কমে আসবে।

 

আগে মাত্রাতিরিক্তভাবে কমে যাওয়া ক্রুডের দাম এখন কৃষক এবং মাঝিরা সমন্বয় করছে। তাই পরিশোধিত লবণের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে দাবি বিসিকের। চট্টগ্রাম বিসিকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম আলমগীর কাদেরী বলেন, উৎপাদনের কার্যক্রম কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করায় দাম বেড়ে পরিমিত মাত্রায় আসছে। যেটাকে সবাই মনে করছে, দাম বাড়ছে।

 

উল্লেখ্য, সারাদেশের ১৭০টি মিলে ক্রুড থেকে লবণ পরিশোধন করা হয়। এরমধ্যে এককভাবে চট্টগ্রাম নগরীর মাঝিরঘাট-চাক্তাই-রাজাখালী এবং পটিয়া ও বোয়ালখালীতে মিল রয়েছে ১১১টি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন