কোরবানিতে নেত্রকোনায় প্রস্তুত ১ লাখ ৩৪ হাজার পশু

২ সপ্তাহ আগে
নেত্রকোনায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও দ্রুততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও ঈদুল আজহায় আইনশৃঙ্খলাসহ কুরবানির পর পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও লবণ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভায় আলোচনা করা হয়।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কমিটি আয়েজিত সভায় জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে পশুর হাট, লবণের মূল্য নির্ধারণ, চামড়া ব্যবস্থাপনা, পশুর হাটে জাল টাকা, অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, মাদকের ছড়াছড়ি ও নিবিঘ্ন যাতায়াতসহ সব ধরনের বিষয় তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রধানরা। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা।


সভায় মুক্ত আলোচনা শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো রাফিকুজ্জামানের সঞ্চলনায় জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী খান পাঠান, আর্মি ক্যাপ্টেন শেখ শাহরিয়ার জামান, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক (ডিএিলজি) পৌর প্রশাসক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাদিকুল ইসলাম, বিসিকের উপব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) সুব্রত কুমার কর, লবণ ব্যবসায়ী যতন সাহা, চামড়া ব্যবসায়ী সাধন চন্দ্র প্রমুখ। 


জানা গেছে, স্থানীয় সরকারের তথ্য মতে এবার জেলায় ১৬৩ টি পশুর হাটের আবেদন পড়েছে। জেলায় এবার ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। তারমধ্যে পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭ টি পশু যা চাহিদার তুলনায় বেশি।

আরও পড়ুন: কোরবানির ফজিলত ও মাসায়েল

এসব পশু কোরবানির পর ২৩ হাজার সম্ভাব্য চামরার পরিমাণ ধরা হয়েছে। যার জন্য ২৩০ টন লবণের চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি লবণ ১৫ থেকে ১৬ টাকা দরের। কিন্তু কোরবানির সময় এর বেশি বাড়ালে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন থাকবে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটালে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলায় ভারতীয় গরু এবং মাদক এলে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিজিবি সঙ্গে সমন্বয় করে তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান বক্তারা।


সভায় মুক্ত আলোচনায় সবার পরামর্শক্রমে প্রশাসনের নীতিনির্ধারণী পক্ষ থেকে ঈদুল আজহায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন।

 

সভায় এএসপি সাহেব আলী খান পাঠান জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে কেউ কোনো ধরনের সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করলে আইনিপদক্ষেপ কঠোর হবে। যাতায়াতের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি শুনলে সে যেই হোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা প্রতিহত করবে। পাশাপাশি ছুটি যেহেতু বেশিদিন অনেকে বাড়ি ফিরে জমিসহ নানা বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এ জন্য সচেতনতা বাড়াতে সকলকের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। যেন কোন ধরনের হানাহানির ঘটনা না ঘটে। 


সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন শেখ শাহরিয়ার জামান বলেন, সড়কে কোনো অবস্থাতেই যানজটের সৃষ্টি করা যাবে না। 

আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়বে, মূল্য নির্ধারণ বৃহস্পতিবার: উপদেষ্টা

নেত্রকোনা পৌরসভার প্রশাসক ডিডি এলজি আরিফুল ইসলাম সর্দার জানান, কোরবানির পরপরই বজ্য অপসারণের কাজ করতে হবে। যেখানে সমস্যা হবে সেখানে পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেয়া হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন