সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম। অভিযানে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
জব্দকৃত কয়েক লাখ ফুট বালুসহ বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- নিউ মক্কা ট্রেডার্স, সেজান এন্টারপ্রাইজ, মদিনা ট্রেডার্স, নোয়াখালী ট্রেডার্স ও জেএসএস ট্রেডার্স।
জানা গেছে, চরএলাহি, চরফকিরা ও মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনীয়া নদী পথে প্রতিদিন বালুবাহী অনেকগুলো বাল্কহেড চলাচল করে। অবৈধ এই বাহন চলাচলে প্রশাসন থেকে একাধিক বার নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেটি তারা অমান্য করে বাল্কহেড চলাচল অব্যাহত রাখে। নদী দিয়ে এ বাল্কহেড চলাচলের কারণে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে নদীর তীরের আশপাশের মানুষের বসত ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের কবলে পড়ে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে একাধিকবার মানববন্ধন করেছিলো স্থানীয় লোকজন ও একাধিক সামাজিক সংগঠন। বালুবাহী বাল্কহেড (ট্রলার) চলার কারণে সম্প্রতি ঝুঁকিতে পড়েছে চরএলাহী ব্রিজসহ আরও একাধিক স্থাপনা।
আরও পড়ুন: নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: বিএনপির নেতাসহ আসামি ৭৩
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় বাল্কহেড ও ড্রেজার মেশিন জব্দসহ ১৮ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ জনকে ২০দিন ও অপর ১৭ জনকে ১০ দিন করে কারাদণ্ড দেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম অভিযানের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বালু মহালগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সময় আটক ১৮ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত বালুবাহী বাল্কহেড, ড্রেজার মেশিন ও জমাকৃত বালু প্রশাসনের জিম্মায় রয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।