বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের নাম ‘জেট-এ১’। এই জ্বালানিটি কেরোসিনভিত্তিক, যা বিশেষভাবে পরিশোধন করা হয় যেন উচ্চ আকাশে তরল অবস্থায় থাকে এবং নিরাপদে দাহ্য হয়। জেট-এ১ সাধারণত বাণিজ্যিক ফ্লাইট এবং আন্তর্জাতিক রুটে ব্যবহৃত হয়। এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কম বাষ্পীভবন করে, ফলে এটি নিরাপদ।
এছাড়া পরিবেশের জন্যও তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর ধরা হয়। সামরিক জেট বিমানেও এই ধরনের জ্বালানির ভিন্ন সংস্করণ ব্যবহার করা হয়, যা আরও বেশি তাপমাত্রা এবং চাপ সহ্য করতে পারে। অন্যদিকে, ছোট প্রপেলারচালিত বিমান, প্রশিক্ষণ বিমান বা ব্যক্তিগত বিমানে ব্যবহৃত হয় ‘অ্যাভগ্যাস ১০০এলএল’।
আরও পড়ুন: জেট ফুয়েলের দাম বাড়ল
এটি এক ধরনের উচ্চ অকটেনবিশিষ্ট পেট্রোল, যা পিস্টন ইঞ্জিনচালিত বিমানের জন্য উপযোগী। এই জ্বালানি উচ্চ কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক এবং সাধারণ গাড়ির পেট্রোলের তুলনায় অনেক বেশি পরিশোধিত ও বিশুদ্ধ হয়ে থাকে।
সার্বিকভাবে বলা যায়, বিমান চলাচলে ব্যবহৃত জ্বালানি অবশ্যই এমন হতে হবে, যা কম তাপমাত্রায় জমে না, দ্রুত জ্বলে এবং ইঞ্জিনে কোনো ক্ষতি না করে সম্পূর্ণ দহন ঘটাতে পারে। বিমানের জ্বালানি নিরাপত্তা ও প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সঠিক জ্বালানি ছাড়া বিমান চলতে পারবে না, আবার ভুল ধরনের জ্বালানি ব্যবহার বিমান দুর্ঘটনারও কারণ হতে পারে। তাই বিমান সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ মানের জ্বালানি সংগ্রহ ও ব্যবহারের ওপর বিশেষ নজর দিয়ে থাকে।
]]>