রোববার (২৫ মে) রিয়াল মাদ্রিদ নতুন কোচ হিসেবে শাবি আলনসোর নাম ঘোষণা করেছে। তিন বছরের চুক্তিতে ক্লাবের এই কিংবদন্তিকে কোচের দায়িত্ব দিয়েছে লা লিগার সফলতম ক্লাবটি। আগামী ১ জুন থেকে ক্লাবটিতে শাবির মেয়াদকাল শুরু হবে। চুক্তির মেয়াদ থাকবে ৩০ জুন ২০২৮ পর্যন্ত।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২৩৬টি ম্যাচ খেলা শাবি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। এই মাসের শুরুতেও তিনি জানিয়েছিলেন, মৌসুম শেষে বায়ার লেভারকুসেনের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। তখনই মোটামুটি তার রিয়ালে আসা নিশ্চিত হয়ে যায়। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি ছিল।
গতকাল শনিবার (২৪ মে) সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচটিই মাদ্রিদের ডাগআউটে আনচেলত্তির শেষ ম্যাচ ছিল। আগামীকালই ব্রাজিলের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার কথা তার।
আরও পড়ুন: সিটি ছেড়ে নাপোলি যাচ্ছেন ডি ব্রুইনা!
রিয়ালের জার্সিতে ২০১৪ সালে আনচেলত্তির অধীনেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন শাবি। আগামী সোমবার (২৬ মে) রিয়ালের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে নতুন কোচ হিসেবে শাবিকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে।
৪৩ বছর বয়সী শাবি বায়ার্ন মিউনিখে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমিতে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে তিনি বায়ার লেভারকুসেনের দায়িত্ব নেন। লেভারকুসেনকে তখন রেলিগেশনের শঙ্কা চোখ রাঙাচ্ছিল। সেখান থেকেই শাবির নেতৃত্বে ক্লাবটি ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর ২০২৪ সালে অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ে। এটিই লেভারকুসেনের ইতিহাসের প্রথম লিগ শিরোপা ছিল। এই মৌসুমেও বুন্দেসলিগায় রানার্স আপ হয়েছে লেভারকুসেন। জার্মান ক্লাবটিতে থাকাকালীনই শাবিকে রিয়ালে আনচেলত্তির দীর্ঘমেয়াদী উত্তরসূরি মনে করা হতো।
রিয়ালের কোচ হিসেবে শাবির প্রথম চ্যালেঞ্জ আসন্ন ক্লাব বিশ্বকাপ। আগামী ১৩জুন যুক্তরাষ্ট্রে টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ানোর কথা।
আরও পড়ুন: মায়ামির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবেন নেইমার!
খেলোয়াড়ি জীবনে দারুণ সফল ছিলেন শাবি। রিয়াল সোসিয়েদাদের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করার পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুলে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে ক্লাবটির হয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন। ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন। ২০১৪ সালে বায়ার্নে যোগ দেয়ার আগে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ, ২টি কোপা দেল রে ও ১টি করে লা লিগা, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতেন।
স্পেন জাতীয় দলের হয়েই ২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি।