শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে মতিবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না। প্রধান উপদেষ্টার কথা অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে।’
সিইসি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়ে গেছে। ভোটের জন্য কেনাকাটা এগিয়ে চলছে। সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী রোববার থেকে নির্বাচনী সীমানার শুনানি শুরু হবে এবং তা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে এ ধরনের কাজে ছিলেন তাদের পদায়নের কোনো চিন্তা নেই। ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যারা বাক্স দখলের স্বপ্ন দেখছেন তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব।’
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: সিইসি
স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান সিইসি।
রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে আমরা যেতে চাই না, কোনো রাজনৈতিক দলে প্রভাবিত নই। সংসদ নির্বাচন সঠিকভাবে করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
আনুপাতিক পদ্ধতি (পিআর পদ্ধতি) নিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সংবিধানে এ ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। এর বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলছে, তবে আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। আইন পরিবর্তন হলে সেটি বাস্তবায়িত হবে।’
সিইসি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা কাজ করছেন। যেসব কর্মকর্তা অতীতে অনিয়মে জড়িত ছিলেন, তাদের রাখা হবে না।
সরকারের কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো চাপ দেয়নি। যদি চাপ দেয়, আমি পদত্যাগ করব, চেয়ারে থাকব না।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।’
]]>