কেন বিদেশি বিনিয়োগ টানতে পারছে না বাংলাদেশ?

২ সপ্তাহ আগে
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিনিয়োগ কমেছে ১৩ শতাংশের বেশি। এজন্য নীতি জটিলতা ও সক্ষমতার ঘাটতিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। আর সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও রিজার্ভ পরিস্থিতি উন্নতির তাগিদ অর্থনীতিবিদের।

বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বড় হলেও সেই অনুপাতে বাড়ছে না বিদেশি বিনিয়োগ। করোনার অভিঘাত কাটিয়ে উঠলেও, জ্বালানি সংকট, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অনিয়ম, দুর্নীতিসহ হালে যোগ হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতায় কমছে এই বিনিয়োগ।

 

২০২৪ সালে বিগত ৩ বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, পরিমাণ ১২৭ কোটি টাকা। যা ২০২৩ সালের চেয়ে ১৩ শতাংশ কম। সম্প্রতি জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

 

বিনিয়োগ কমাকে আশংকাজনক উল্লেখ করে বাংলাদেশে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ সংগঠন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, বিনিয়োগ কমার হার আশঙ্কাজনক। বিশ্বাসযোগ্যতা, বিনিয়োগ নীতিমালার অস্থিতিশীলতা ও সক্ষমতার অভাব এর পেছনে দায়ী।

 

আরও পড়ুন: ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ ৭৫৬ মিলিয়ন ডলার: বিডা

 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। বিনিয়োগ বাড়াতে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি ও বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করার তাগিদ অর্থনীতিবিদের। রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। তার কিছুটা প্রভাব অবশ্যই পড়েছে বিনিয়োগে। তাই বিনিয়োগ আকর্ষণ করা কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

বিনিয়োগ বাড়াতে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি ও বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ব্যালেন্স অব পেমেন্টে সমস্যা, রিজার্ভ কমে যাচ্ছে বা রিজার্ভের ওপর চাপ আছে এমন দেশকে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত এড়িয়ে চলতে চায়। চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তবে আমরা সেভাবে তাদের আকর্ষণ করতে পারছি না। এখানে আমাদের প্রস্তুতির অভাব রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বিগত ৬ বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ১৮৭ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন