কেঁচো সারে আগ্রহ বাড়ছে সাতক্ষীরার চাষিদের

১ সপ্তাহে আগে
সাতক্ষীরায় ভার্মি ও ট্রাইকো কম্পোজ জৈবসার ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চাষিরা। ক্ষেতের মাটিতে জৈবসার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন ভালো হয়। বিশেষ করে সবজি থাকে সবুজ তরতাজা। বিভিন্ন এনজিও জৈবসারের উপকারিতা নিশ্চিত হয়ে কৃষকদের মধ্যে ভালো বীজের সঙ্গে জৈবসার বিতরণ করছে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  উপপরিচালক ফসল ফলাতে গেলে কতগুলো বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হয়। ভালো মাটি, ভালো বীজ, ভালো স্যার ও সেচ এবং কৃষকের পরিশ্রম একটি গাছের জন্য মুখ্য ভূমিকার  উল্লেখ করে জানান, জৈবসার ব্যবহারের উপকারিতার কথা।
 

সাতক্ষীরায় ২০১৩-১৪ সাল থেকে ভার্মি (কেঁচো) কম্পোস্ট সার উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু হয়। স্থানীয়ভাবে এই জৈবসারকে কেঁচো সার বলে থাকেন কৃষকরা। পরে জৈবসারেরর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় যুক্ত হয় ট্রাইকোলিস্ট কম্পোস্ট জৈবসার। জৈবসার ব্যবহারে কৃষকরা ভালো উৎপাদন পাওয়ায় এই সার ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
 

কম্পোজ সার উৎপাদন করে ভাগ্য ফিরেছে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোড়ল আব্দুল মালেকের। জৈব সার উৎপাদনে উদ্যোগী হয়ে এখন তিনি এলাকার অন্যদের অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। প্রথমে তিনি নিজের ক্ষেতে ব্যবহারের জন্য বাড়ির আঙিনায় অল্প জমিতে উৎপাদন শুরু করলেও বর্তমানে আড়াই বিঘা জমিতে তিনি জৈবসার উৎপাদন করেন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়েও অন্য জেলাতে পাঠিয়ে থাকে।
 

তার এই জৈব্যসার উৎপাদন ফার্মে কর্মরত শ্রমিকরা জানালেন, বাইরে থেকে কেঁচো কিনে গরুর গোবরে ছেড়ে দিয়ে ভার্মি (কেঁচো) কম্পোস্ট ও ট্রাইকোলিস্ট কম্পোস্ট জৈবসার উৎপাদন করা হয়। এতে যে পারিশ্রমিক পান তা দিয়ে তাদের সংসার ভালোই কাটছে।
 
আরও পড়ুন: উপকূল থেকে বিশ্বকে বার্তা ‘এখনই ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর চাই’


এখান থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া কৃষক ও সার ব্যবসায়িরা জানান, সাতক্ষীরায় উৎপাদিত জৈবসার মানে ও গুণে খুব ভালো। তাই এর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। আর কৃষকরা জানালেন, এ সার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন ভালো হয়, বিশেষ কওে সবজি থাকে সবুজ তরতাজা।
 

সাতক্ষীরার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ফসল ফলাতে গেলে কতগুলো বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হয়। ভালো মাটি, ভালো বীজ, ভালো স্যার ও সেচ,এবং কৃষকের পরিশ্রম একটি গাছের জন্য মুখ্য ভূমিকা রয়েছে।
 

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে প্রায়  ৫ শত জন  খামারিকে নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সারের প্রদর্শনী করা হয়েছে। বর্তমানে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার ছোট-বড় খামারি নিয়মিতভাবে এই সার উৎপাদন করছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন