কে হাসবেন শেষ হাসি, মামদানি নাকি কুমো?

৩ সপ্তাহ আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে মেয়র নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা রাত ৯টায়। এর পরপরই শুরু হবে ভোট গণনা।

জরিপে একমাত্র মুসলিম প্রার্থী ডেমোক্র্যাট সমর্থিত জোহরান মামদানি এগিয়ে থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।

 

সোমবার গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকসের জরিপে দেখা গেছে, মাত্র চার দিনে কুমো ও মামদানির জনসমর্থনের ব্যবধান বেশ কমেছে। ওই জরিপ অনুযায়ী, মামদানির পক্ষে জনমত ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ। আর কুমোকে সমর্থন জানিয়েছেন ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ কুমোর চেয়ে মামদানি এগিয়ে আছেন ১৪ দশমিক ৩ পয়েন্টে।

 

নিউইয়র্ক সিটিতে মোট ভোটার ৬২ লাখ। এরইমধ্যে রেকর্ডসংখ্যক সাত লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি আগাম ভোট দিয়েছেন।

 

মঙ্গলবার শহরের অ্যাস্টোরিয়া এলাকায় একটি কেন্দ্রে ভোট দেন মামদানি। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রামা দুয়াজি। ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের মামদানি বলেন, ‘শহরে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি আমরা। অতীতের রাজনীতি ত্যাগ করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি।’

 

আরও পড়ুন: ‘ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে’: নির্বাচনের শুরুতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি

 

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো ভোট স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ভোটদানের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভালোই অনুভব হচ্ছে। মনে হচ্ছে পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে রয়েছে।’

 

এবার মেয়র নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি কার্টিস স্লিওয়ার জয়ের আশা না দেখতে পেয়ে শেষ পর্যন্ত কুমোকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এমন সময় তিনি এ সমর্থন দিলেন, যখন রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিকসের জরিপে কুমো ও মামদানির জনসমর্থনের ব্যবধান কমতে দেখা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য একটাই—মামদানি যেন নিউইয়র্কের মেয়র পদে বসতে না পারেন।

 

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘আপনি ব্যক্তিগতভাবে অ্যান্ড্রু কমোকে পছন্দ করুন বা না করুন, আপনার আসলে কোনো বিকল্প নেই। আপনাকে তাকে ভোট দিতে হবে এবং আশা করি তিনি দুর্দান্ত কাজ করবেন। কারণ তিনি এতে সক্ষম, মামদানি তা করতে পারবেন না।’

 

আরও পড়ুন: কুওমোকে সমর্থন ট্রাম্পের, মামদানি জয়ী হলে নিউ ইয়র্ক সিটির তহবিল বন্ধের হুমকি

 

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি কমিউনিস্ট প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে আমার প্রিয় প্রথম বাড়িতে ফেডারেল তহবিল, প্রয়োজন অনুসারে খুব কম পরিমাণে ছাড়া, বেশি দেয়াটা আমার জন্য কঠিন হবে।’

 

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দীর্ঘদিনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা কুমো, ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে মামদানির কাছে হেরে যাওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন শুধু জাতীয়ভাবে নয়, আন্তর্জাতিকভাবও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সমর্থিত জোহরান মামদানি জয়ী হলে তিনিই হবেন নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র। আর এ নিয়েই জাতীয়ভাবে সরগরম হয়ে উঠেছে মার্কিন রাজনীতি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন