কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়লেন ১০ জন

৪ সপ্তাহ আগে
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদের ছাদের ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন কিছু মুসল্লি।

শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদের ছাদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

 

জানা গেছে, সকালে মুসল্লিরা এসে কৃষ্ণপুর ফকিরপাড়ার মুসলিম জামে মসজিদের ছাদে যান। সেখানে আগে থেকেই ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছিল। ছাদের মধ্যে কালো পর্দা টাঙিয়ে দেয়া হয়। একই ইমামতিতে সামনে পুরুষ এবং পেছনে নারীরা নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে নারী মুসল্লিরা বাড়ি ফিরে যান। আর পুরুষরা নামাজ শেষে পশু কোরবানি করেন।

 

নামাজের ইমামতি করেন মো. আনোয়ার। এসময় মুসলিম জামে মসজিদের ইমাম আবদুর রহিম গাজীসহ আট জন পুরুষ ও এক শিশুসহ দুই জন নারী নামাজে অংশ নেন। মোট ১০ জন নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে একটা গরু ও একটা ছাগল কোরবানি করা হয়।
 

আরও পড়ুন: ঢাকার ৩৮ এলাকায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায়

 

মুসল্লি গোলাম মোস্তফা বলেন, এ মহল্লায় কমবেশি ৩০টি পরিবার বসবাস করে। তারমধ্যে পাঁচটি পরিবার ঈদের নামাজ পড়েছে। আজ একটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি করা হলো। আমরা ভাগে কোরবানি করি না। যে গরু কোরবানি করা হচ্ছে তার মাংস সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করা হবে।

 

মুসলিম জামে মসজিদের ইমাম রহিম গাজী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের সময়ের ব্যবধান তিন ঘণ্টা। আর চন্দ্র মাস শুরু হয় একই দিনে। ঈদ পালন করা হচ্ছে। এটা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নয়। চাঁদ দেখে।

 

নামাজের ইমামতি করা আনোয়ার বলেন, পুরো পৃথিবীর আকাশ একটা। চাঁদও একটা। আমরা সবাই নিজে নিজে যার যার সময় অনুযায়ী করে থাকি। আমরা যে আজ ঈদের নামাজ পড়লাম আমাদের কাছে শক্ত দলিল আছে।

 

এর আগে গত ঈদুল ফিতরের নামাজে মুসল্লিদের উপস্থিত ছিল মোট ১৯ জন। পুরুষ মুসল্লি ছিলেন ১৬ জন এবং নারী ছিলেন ৩ জন।

এছাড়াও ঢাকার বেশ কিছু  এলাকার  এবং দেশের বেশ কিছু জেলার এলাকার মানুষজন ঈদের নামাজ পড়েছেন।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন