ঘটনায় জড়িতরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তবে জেলা বিএনপি জানিয়েছে, অভিযুক্তরা বিএনপির কেউ নয়, তারা কোনো পদেও নেই।
ভুক্তভোগী টাংগাব গ্রামের শামছুল ইসলামের (৭০) অভিযোগ, তিনি একই গ্রামের আমানুল্লাহর কাছ থেকে দুইলাখ টাকা সুদে ধার নেন। তিনি আমানুল্লাহকে লাভসহ দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে। সালিশ-দরবার করে বিষয়টি মধ্যস্থতা করে পাশের ভরপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিন। তিনি বিএনপির রাজনীতি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে বদলি হওয়া একজন ওসির নারী কেলেঙ্কারিসহ ঘুষ-বাণিজ্যের গল্প
তিনি বলেন, ‘মধ্যস্থতার বিনিময়ে ইসলাম উদ্দিন ও তার লোকজন আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। সেই দাবিকৃত টাকা না পেয়ে গত শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে ইসলাম উদ্দিন (৪৫), ইমরান (৩৫), কাশেমের (৩৫) নেতৃত্বে ৫/৬ জন ব্যক্তি আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইসলাম উদ্দিন ও তার লোকজন আবার বাড়িতে এসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে তারা আমাকে মারধর করে ৪টি গরু লুট করে নিয়ে যায় তার। প্রতিবেশী শান্তা নামে এক গৃহবধূ ঘটনাটি গোপনে ভিডিও করে। ভিডিওটি রাতেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে পাগলা থানা পুলিশ তৎপর হয়ে রাতেই ৪টি গরু উদ্ধার করে আমাকে বুঝিয়ে দেয়।’
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই আমরা ব্যবস্থা নেই। লুট হওয়া ৪টি গরু উদ্ধার করে শামছুল ইসলামকে রাতেই ফেরত দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী মামলা করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে দুই শিক্ষকের তুমুল বাগ্বিতণ্ডা, ভিডিও ভাইরাল
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন বলেন, ‘ভিডিওটি আমরা দেখা মাত্রই পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাই। সেই অনুযায়ী পুলিশ গরুগুলো উদ্ধার করে দিয়েছে। অভিযুক্তদের বিএনপির কোনো পদ নেই। বহু বছর আগে ওয়ার্ডের সদস্য ছিল। এখন কোনো কিছুতেই তারা নেই। তাই বহিষ্কার করার মতো কোনো অবস্থাতেই তারা নেই। তবে তাদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় সেই দাবি আমরা জানাচ্ছি।’