বঙ্গোপসাগর আর অফুরন্ত সামুদ্রিক মাছের সহজলভ্যতায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী শুটকি পল্লী। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় শুটকি প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম। এতে অংশ নেয় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
পোয়া, সোনাপাতা, মধুফাইস্যা, রূপচাঁদা, শাপলাপাতা, চাপিলা, ফাইস্যা, লইট্রা, চিংড়ি, ছুড়ি, হাঙ্গর, ভোল ও কোড়ালসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির কাঁচা মাছ সংগ্রহ করে সৈকতে বাঁশের মাচা বানিয়ে রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় শুটকি। কোনো কীটনাশক ছাড়া শুধু লবণ মেখে প্রক্রিয়াজাত করায় আলাদা স্বাদ এবং চাহিদা ব্যাপক পণ্যটির।
শ্রমিকরা জানান, নির্দিষ্ট পল্লী না থাকায় বছরের ৬ মাস চলে এ ব্যবসা। বাকি ৬ মাস কর্মহীন থাকতে হয় শুটকি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুন: ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ৩০ হাজার জেলের সমুদ্রে যাত্রা!
স্বাস্থ্য সম্মতভাবে শুটকি প্রক্রিয়াজাতে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, আর্থিক প্রণোদনা ও স্থায়ী পল্লী নির্মাণে চেষ্টা চলছে বলে জানালেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
কলাপাড়া উপজেলায় ৮টি পল্লীতে গত বছর প্রায় ২০০ মেট্রিক টন শুটকি উৎপাদিত হয়। এ পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ৫০০ পরিবার। তবে বর্তমানে ৩টি পল্লীতে চলছে শুটকি উৎপাদন কার্যক্রম। বাকিগুলো নানা সমস্যায় বন্ধ হয়ে গেছে।
]]>