কুয়াকাটার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ধ্বংসের ছাপ

১ সপ্তাহে আগে
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তুলা গাছের নিচের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে তুলা সংগ্রহের সুবিধার্থে এ আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে বেশ কিছু তুলা গাছের গোড়া ও আশপাশের লতাপাতা পুড়ে গেছে।

সম্প্রতি কুয়াকাটার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মম্বিপাড়া ও তেত্রিশ কানি এলাকায় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কুয়াকাটা বিটের আওতায় থাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রায় দেড়শ তুলা গাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে প্রতিবছর তুলা সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়। একেকটি গাছের তুলা ৫০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তুলা কেনে মম্বিপাড়া বেড়িবাঁধের দুই পাশের স্থানীয় বাসিন্দারা।


তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবছর এভাবে তুলা বিক্রি করে লাখ টাকার বেশি বাণিজ্য চলে। তুলা সংগ্রহ সহজ করতে গাছের গোড়ার অংশে ও আশপাশে আগুন দেওয়া হয়। এতে ওই এলাকা পরিষ্কার থাকে এবং গাছ থেকে ঝরে পড়া তুলা সহজে সংগ্রহ করা যায়। তবে এ আগুনে ঝোপঝাড়ের সঙ্গে সঙ্গে তুলা গাছেরও কিছু অংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে হত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, কুয়াকাটা বিট কর্মকর্তা প্রতিবছর এ কাজ করে আসছেন এবং এতে মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততাও রয়েছে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’ তবে অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


এদিকে, কুয়াকাটার সৈকতঘেঁষা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এমন আগুন দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’র সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, উপকূল রক্ষার প্রাকৃতিক বেষ্টনি ধ্বংস হলে মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন