আহত আফরোজ ভূঁইয়া চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠাঁলকান্দি গ্রামের কুটপি পাড়ার মৃত শামসুল হক ভূঁইয়ার ছেলে।
বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আফরোজ ভূঁইয়াকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিুকল ইসলাম ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম।
স্থানীয়রা জানান, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়, আফরোজ ভূইয়াকে পরিকল্পিতভাবে ক্ষতি করার অপচেষ্টা হতে পারে। এ অস্বাভাবিক ঘটনায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচুর বিচি গলায় আটকে শিশুর মৃত্যু
এলাকাবাসী সূত্র জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত চাতলপাড় বাজারে বসে ফোনে কথা বলেন তিনি। রাত সোয়া ১২টার দিকে বাড়িতে যাওয়ার পর তার গরুর গোয়ালের সামনে বড়ই গাছের ডালপালা ও একটি কালো রংয়ের টর্চলাইট পড়ে থাকতে দেখেন আফরোজ ভূঁইয়া। এরপর হাতে নিয়ে সুইচ চাপ দিতেই ভয়াবহ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় তার ডান হাতের কবজির পেছনের দিক ও ডান উরুর মাংস ছিটকে যায়।
পরে স্থানীয় গ্রামবাসী ও পরিবারের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে রাত নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তারা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেন। রাতেই তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিকে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে বিস্ফোরণটিকে একটি সাজানো হামলা বলেও সন্দেহ করছেন স্থানীয়দের অনেকেই। তাদের ভাষ্য, গরু চুরির নতুন কৌশল হতে পারে এই বিস্ফোরক লাইট।
আহত ভুক্তভোগী আফরোজ ভূঁইয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘আমি যখন বাজারে বসে কথা বলি, তখন চার-পাঁচ জন লোক আমার গতিবিধি লক্ষ্য করছিল। বাড়িতে যাওয়ার পরই গরুর গোয়ালের সামনে বড়ই গাছের ডাল ও টর্চলাইটটি পড়ে থাকতে দেখে হাতে নেই। সুইচে চাপ দিতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।’
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে স্থানীয়রা আমায় বিষয়টি জানিয়েছেন। কী কারণে এমন হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো বলতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টেঁটার আঘাতে নিহত ১, আহত ১০
চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম স্থানীয় জানান, বোমা সদৃশ কোনো বস্তু নাকি টর্চলাইটের ব্যাটারির বিস্ফোরণ থেকে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। ফরেনসিক রিপোর্টের এর পর প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।’
]]>