মঙ্গলবার (২৮ মে) গভীর রাতে আম বাগান থেকে আশরাফুল হোসেন কালুকে (৩৫) রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল হোসেন কালু কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গবরগাড়া গ্রামের নাড়া ফকিরের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন।
এদিকে কামরুল প্রামানিককে (৫০) বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলা বাগান থেকে রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: রাসেল ভাইপারে কামড়ানো রোগীর তথ্য নিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার ফটো সাংবাদিক
নিহত কামরুল প্রামানিক কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চর জগন্নাথপুর গ্রামের করিম প্রামাণিকের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন।
নিহত কামরুলের ভাতিজা বিপুল প্রামাণিক বলেন, আমার চাচা সকালে মাঠে যায়। মাঠে কলার বাগানে কাজ করা অবস্থায় রাসেল ভাইপার সাপে কামড় দেয়। এসময় সাপটি মেরে হাতে নিয়ে বাড়ি চলে আসে চাচা। রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত কালুর স্বজনরা বলেন, গভীর রাতে আম বাগানে গিয়েছিল কালু। এসময় রাসেল ভাইপার সাপে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ভোরে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ছোবল খেয়ে রাসেল ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত করার জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
]]>