শুক্রবার (১৬ মে) রাতে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া জেলেপাড়ায় ঘটে এ ঘটনা।আহত রুহুল আমিন কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ৪৫ টি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এক নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় শুয়ে আছেন আহত রুহুল আমিন। তার পাঁ ও হাতের একাধিক স্থানে সাদা ব্যান্ডেস বাঁধা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন। কথা বলতে পারছেন না।
এ সময় রুহুলের স্ত্রী সুইটি খাতুন বলেন, ‘বেড় কালোয়া এলাকায় আমার স্বামীর বালুর ব্যবসা আছে। শুক্রবার বিকেলে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিল। সে সময় জেলেপাড়ার সরদার ইয়ারুল ইসলামের লোকজন স্বামীকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তার ভাষ্য, রুহুলের শরীরে ৪৫ টি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসক। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল প্রতিপক্ষ। থানায় মামলা করা হবে।’
আরও পড়ুন: কোরবানিতে কুষ্টিয়ায় প্রস্তুত ২২ হাজার পশু, দাম নিয়ে শঙ্কা
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলেপাড়ার সরদার ইয়ারুল ইসলাম ফোনে বলেন, এলাকায় অনেক ঝামেলা। সেজন্য দুই মাস ধরে ঢাকায় আছি। গ্রামে কি ঘটেছে কিছুই জানি না। ফাঁসানোর জন্য প্রতিপক্ষরা মিথ্যা দোষারোপ করছেন।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক হোসেন ইমাম বলেন, রোগী এখন আশঙ্কামুক্ত। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহৃ রয়েছে। ৪৫ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, খবর পেয়ে আহত অবস্থায় রুহুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।