কুয়েতে অবৈধ ক্লিনিক পরিচালনা, ভারত ও বাংলাদেশের ৮ জন আটক

১ দিন আগে
কুয়েতের ফারওয়ানিয়া এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে ক্লিনিক পরিচালনার দায়ে ভারত ও বাংলাদেশের আট নাগরিককে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। সেই সঙ্গে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে।

লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করা এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে কুয়েতের নিরাপত্তা অধিদফতর এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগ যৌথ অভিযান চালায়।

 

প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহর নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে অস্থায়ী ওই ক্লিনিক থেকে চার ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। এর মধ্যে একজন ভুয়া চিকিৎসক। বাকি তিনজন চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। 

 

এরপর তদন্তে বেরিয়ে আসে অবৈধভাবে সরকারি ওষুধের বিক্রি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের তথ্য। এ ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন উপায়ে সরকারি ওষুধ সংগ্রহ করে লাইসেন্সহীন চিকিৎসককে সরবরাহ করতেন। 

 

আরও পড়ুন: কুয়েতে হয়ে গেল প্রবাসী বাংলাদেশিদের পিঠা উৎসব

 

কর্মকর্তারা জানান, একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত এক বাংলাদেশি কর্মচারী তার পদের অপব্যবহার করে নিয়মিত ওষুধ চুরি করতেন এবং তা অবৈধ ক্লিনিকে সরবরাহ করতেন। তাকেও আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় সব ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন