কুমিল্লায় দেদারছে ঢুকছে কোটি কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য

১ সপ্তাহে আগে
কুমিল্লায় প্রতিদিন ঢুকছে চোরাইপথে আসা কোটি কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য। এসব পণ্যের বড় একটি অংশ আসছে রেলপথে। বাকি অংশ সীমান্ত পেরিয়ে কৌশলে শহরের বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে কুমিল্লা রেল স্টেশনে জড় হন অর্ধশতাধিক চোরাকারবারি। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী চট্টলা ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিটি বগিতে তোলা হয় সাদা প্লাস্টিকে মোড়ানো ভারতীয় প্রসাধনী ও মসলাযুক্ত কার্টন। ট্রেনটি কুমিল্লা রেলস্টেশনে ঢোকার আগে গতি কমালে চোরাকারবারিরা মালগুলো বগি থেকে নিচে ফেলে দেন। নিচে অপেক্ষমাণ দল দ্রুত সেগুলো সরিয়ে নেন নিরাপদ স্থানে।

 

ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এসব পণ্য প্রকাশ্যেই দেশে প্রবেশ করছে। পরে সেগুলো ছড়িয়ে পড়ছে কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন বাজার ও বিপণিবিতানে।

 

এক চোরাকারবারী বলেন, ‘বরিশালে কসমেটিক্স, মাদক বাদে মোবাইল, শাড়ি, চাল সবকিছুর কন্টাক্ট আছে। যা চায়, তাই আসে।’


আরেকজন বলেন, ‘মিয়াবাজার, বাবুচিবাজার দিক দিয়ে রাতে কসমেটিক্স, গাঁজা, ফেনসিডিল আসে। এসব সিন্ডিকেট করে আনা হয়। আট–দশ জনের সিন্ডিকেট থাকে, জায়গায় জায়গায় লোক আছে।’

 

অভিযোগ রয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যের মাশোহারায় চোরাচালান হচ্ছে নির্বিঘ্নে। ট্রেন এখন হয়ে উঠেছে ‘নিরাপদ বাহন’।

 

আরও পড়ুন: সিলেটে কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ

 

 স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সবাই দেখেও কিছু বলে না। পুলিশ থাকে, দেখেও না দেখার ভান করে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেই উল্টো বিপদে পড়তে হয়।’

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলপথ থেকে সীমান্ত, সবখানেই চলছে চোরাচালানের বিস্তার। শুধু ভারতীয় প্রসাধনী নয়; মোবাইল, চাল, মাদকও ঢুকছে গাড়ি, মোটরসাইকেল এমনকি হেঁটে আসা লোকদের মাধ্যমেও।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল মোল্লা বলেন, ‘রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি চৌকস বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পিডিআরসহ সবাই তৎপর রয়েছে। কেউ ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

 

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে পুলিশের দায়িত্ব না থাকলেও চোরাই পণ্য দেশে প্রবেশের পর আমরা খবর পেলে অভিযান পরিচালনা করছি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন