মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন এই রায় দেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম মিয়া বাজার থেকে মোবারক হোসেন ও আবদুল মালেক ময়নামতি দেবপুর যাওয়ার কথা বলে বেবি ট্যাক্সিতে ওঠেন। পথে পদুয়ার বাজারে তাদের সঙ্গে নুরুল ইসলাম যোগ দেন। পরে দেবপুর এলাকার বিন্দিয়ার চর ব্রিজের কাছে চালক জসিম উদ্দিনকে হত্যা করে ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে তার বেবি ট্যাক্সি ছিনতাই করেন তারা।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঘটনার পরদিন বুড়িচং থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন থানার এএসআই কাজী মাছুমুর রহমান। পরে পুলিশ আসামি মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে আব্দুল মান্নানের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া বেবি ট্যাক্সিটি উদ্ধার করে।
২০০৯ সালে মামলাটি কুমিল্লা দায়রা জজ আদালতে নথিভুক্ত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
রায়ে আসামি মোবারক হোসেন, আবদুল মালেক ও নুরুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়। অন্যদিকে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান ও মো. সাইফুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক সরকার বলেন, ‘মামলার শেষ পর্যায়ে এসে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোবারক হোসেন, আবদুল মালেক ও নুরুল ইসলাম পালিয়ে যান। তাদের বিরুদ্ধে এখনও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।’