এর আগে করমজল খাল থেকে কুমিরে টেনে নেওয়ার ৭ ঘন্টা পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুব্রতর মরদেহ উদ্ধার করে বনবিভাগ ও গ্রামবাসী। একইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুন্দরবন থেকে কাঁকড়া ধরে খাল সাঁতার দিয়ে ফেরার পথে কুমিরের আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি।
এদিকে সুব্রতর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারসহ এলাকাজুড়ে। সন্তান সম্ভবা স্ত্রী মুন্নি খাঁর আর্তনাদে ভারী হয়ে আছে পুরো গ্রাম।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর খানেক আগে মুন্নির সাথে বিয়ে হয় সুব্রতর। আহাজারি করে মুন্নি বলেন, 'আমার অনাগত সন্তান আর বাবার মুখ দেখতে পেল না। কে নিবে তার দায়িত্ব, কোথায় যাব আমরা।'
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে জেলেকে টেনে নিলো কুমির, ৮ ঘণ্টা পর মিললো মরদেহ
সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, যেহেতু সুব্রত পাশ-পার্মিট নিয়ে বনে গিয়েছিল। তাই কুমিরের আক্রমণে নিহত পরিবারকে সরকারিভাবে অনুদান প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।