সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লানাঙ্গলকোটের শরীফপুর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক কবিরাজ মাওলানা আব্দুর রবের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রাম।
র্যাব-১১-এর উপপরিচালক মেজর সাদমান ইবনে আলম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহতরা উনার নিকট থেকে চিকিৎসা নিতেন এবং কয়েকবার তারা কবিরাজ মাওলানা আব্দুর রবের বাড়িতে এসেছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয়রা। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা সেই ব্যক্তি মাওলানা কবিরাজ আব্দুর রব।
এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার নিজ বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন এবং তার মা তাহমিনা বেগম। পাঁচ সদস্যের পরিবারের মধ্যে কিছুদিন আগে তার বাবা মারা যান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কালিয়াজুরি সংলগ্ন হাতেখড়ি আনন্দ পাঠশালা স্কুল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন পরিবারটি। সেখানে মা, মেয়ে ছাড়াও তার দুই ভাই থাকতেন। রোববার রাত ১১টার দিকে পিংকির ভাইদের মধ্যে একজন বাসায় ঢুকে পিংকি ও ফাতেমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ভাড়া বাসায় মিললো কুবি ছাত্রী ও তার মায়ের মরদে
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
হত্যাকাণ্ডের সময় সেই বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আরও কেউ ছিলেন কি-না তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশের উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ঘটনার দিন সকাল থেকে দুপুরের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। তবে বেলা ১টার ৩৫ মিনিটের দিকে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কুবি ছাত্রী ও মায়ের মরদেহ উদ্ধার: সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল
উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রোববার সকাল ৮টা ৮ মিনিটে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মাথায় টুপি পাঞ্জাবি পাজামা পড়া বাসায় প্রবেশ করে। পরে বেলা ১১টা ২২ মিনিটের দিকে তাকে বের হতে দেখা যায়। সবশেষ আবারও বেলা ১১টা ৩৪ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। তবে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আর কোনো সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।