রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় পশ্চিম বিষ্ণুপুর গ্রামের মাছুম মিয়া ও শিউলি দম্পতির বাড়িতে ওই কালো হাঁসের ডিম দেখা যায়। আর হাঁসের কালো ডিম দেখতে সেখানে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
আরও পড়ুন: গলাচিপায় হাঁসে পাড়ল কালো ডিম
মাছুম মিয়া জানান, প্রায় ছয় মাস আগে বাজার থেকে তিন জোড়া দেশীয় জাতের পাতিহাঁস কিনে এনেছেন তিনি। কয়েকদিন ধরে হাঁসগুলো সাদা ডিম দিলেও গত ৯ ডিসেম্বর হাঁসের খোঁয়াড়ে একটি কালো ডিম দেখতে পান তারা। সাপের ডিম ভেবে ভেঙে ফেলা হয় সেটি। কিন্তু পরপর আরও কয়েক দিনে তিনটি কালো ডিম পাওয়া যায় হাঁসের খোঁয়াড়ে। পরে হাঁসের কালো ডিম পাড়ার বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল বলেন, হাঁসের ডিমের রঙ সাদা। কখনো কালো ডিম দেখি নাই। খবর শুনে দেখতে এসেছি। এমন কালো ডিম এর আগে কখনই দেখি নাই।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে রাজধানীতে আজব ঘটনা! ৫ লাখ টাকার প্রলোভনে ঢাকামুখী লাখো মানুষ
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, জেনেটিক্যালি ডিমের রঙ কালো হতে পারে। কিন্তু এতে ডিমের পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। তবে এতে আতঙ্কিত বা কুসংস্কার মনে করার কিছু নেই।
এর আগেও একই উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে হাঁসের কালো ডিম পাড়ার খোঁজ পাওয়া গেছে।