শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের একটি মসজিদ থেকে তাকে উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশ।
তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদিক রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে পূর্বাচল জামে মসজিদ থেকে দুপুর ২টায় তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. মহিদুল ইসলাম জানান, মামুনুর রশীদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ডিএমপির উপকমিশনার বলেন, মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন তাকে মারধর করা হয়নি। তবে মোবাইলের পাসওয়ার্ডের জন্য তাকে চড় দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চুনকুড়ি নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে নারীর মরদেহ উদ্ধার
মামুনুর রশীদ দাবি করেছেন, একটি চাঁদাবাজির ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর কারণে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
তবে ডিএমপির উপকমিশনার মো. মহিদুল ইসলাম একইসঙ্গে জানান, ঘটনাটি অপহরণ নাকি অন্য কিছু, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি বলেন, মামুনুর রশীদের বক্তব্যে কিছু অসংলগ্নতা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে মামুনের পরিবার অভিযোগ করেছিল, গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে মামুনকে সরাসরি অপহরণের হুমকি দেয়া হয়। এর পরদিনই ভোরে তিনি রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ওইদিনই তুরাগ থানায় তার নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।