মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পৌর শহরের গাছতলাঘাট নার্সারি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে করে শহরের ১২টি ওয়ার্ডের কয়েকশ গ্রাহককে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
দগ্ধরা হলেন: একই এলাকার হারুন মিয়া (৪০) ও কালাম মিয়া (৩৯)।
এলাকাবাসী জানান, সকাল ১০টায় শহরের গাছ তলাঘাট এলাকায় পৌরসভার ঠিকাদার ড্রেনের কাজ করতে গিয়ে হেমারের আঘাতে ৩/৪ গ্যাস লাইনে লিকেজ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে আগুন লেগে শ্রমিক হারুন মিয়া ও কালাম মিয়া দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তাদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়। পরে গ্যাস অফিসের কর্মকর্তারা ভৈরবের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে হারুণ মিয়া স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে গ্যাস অফিসের লোকজন এসে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত শেষে ৪ ঘণ্টা পর দুপুর ২টায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ফার্নিচারের গোডাউনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২
এই ব্যাপারে শ্রমিক মিরাজ মিয়া বলেন, ‘আমরা পুরাতন ড্রেন ভাঙছিলাম। এ সময় হেমার ও ড্রিল মেশিনের আঘাতে গ্যাসপাইপ লাইনে লিকেজ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে আমাদের দুই শ্রমিক হারুন ও কালাম আহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোক ও তিতাসের লোকজন এসে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
এই ব্যাপারে তিতাস গ্যাসের ভৈরব জোনের বিক্রয় ও বিতরণ কর্মকর্তা কাইসার আলম বলেন, ‘আমি ১০টার দিকে গ্যাস লাইনে আগুনের খবর পাই। লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি। ইতিমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও এলাকাবাসী বালি ও পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শহরের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে লিকেজ বের করে মেরামত শেষে ৪ ঘণ্টা পর গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়।’