কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া ৬ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত ৭

১ সপ্তাহে আগে
রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ ছয়জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে পল্লবী থানায় মামলাটি করেন নিহত কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা। ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি জানান, ঘটনার সময় জনি নামে একজনকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে চিহ্নিত সন্ত্রাসী পাতা সোহেল, ভাগনে মাসুম, দর্জি মামুন, বোমা কালু ও রোকনের নাম উঠে এসেছে। তারা ছয়জন কিলিং মিশনে অংশ নেন।

 

ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক নাকি মাদক নিয়ে দ্বন্দ্ব তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আন্ডারওয়ার্ল্ডের কানেকশনের কোনো বিষয় রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।

 

এদিকে দুপুরে নিহত কিবরিয়ার মরদেহ মিরপুরের নিজ বাসায় নেয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন ও এলাকাবাসী। কেউই মানতে পারছেন না নির্মম এ হত্যা। মরদেহ দেখতে ছুটে আসেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানান তিনি।

 

এর আগে সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাশাত জাবিনের করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিবরিয়ার শরীরে ১৮টি ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।

 

গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি দোকানে ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে।

 

আরও পড়ুন: নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কিবরিয়াকে হত্যা: মোনায়েম মুন্না

 

দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার দু–তিন সেকেন্ডের মধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ভেতরে ঢুকে তাকে গুলি করতে শুরু করে। দুর্বৃত্তদের একজনের পরনে পাঞ্জাবি ও দুজনের গায়ে শার্ট ছিল। প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ ছিল। এ সময় দোকানে ৯ জন ছিলেন। দুর্বৃত্তদের একজন কিবরিয়াকে গুলি করতে শুরু করলে ভয়ে দোকানে থাকা লোকজন বেরিয়ে যান। কিবরিয়াকে দুজন গুলি করে। এ সময় কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাদের একজন আরও তিনটি গুলি করে দ্রুত বেরিয়ে যান।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মোটরসাইকেলে এসে গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া খেয়ে অটোরিকশায় উঠে পড়েন দুজন। একজন আটক হলেও অপরজন গুলি করতে করতে পালিয়ে যান। অটোরিকশা দ্রুত না চালানোয় চালককেওে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় চালককে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। আর রক্তাক্ত অবস্থায় কিবরিয়াকে শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

কিকবরিয়ার স্বজন ও বন্ধুদের অভিযোগ, এলাকায় জনপ্রিয়তা ও সামনে দলের বড় পদ পেতেন কিবরিয়া। এই ঈর্ষা থেকেই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে তাকে হত্যা করানো হয়েছে।

 

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান বলেন, জনগণের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে জনি নামে এক যুবকে আটক করা হয়। তার সঙ্গে জড়িত বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন