আইসিসি পিসিবির দাবি আমলে নিচ্ছিল না। ফলে আরব আমিরাত ম্যাচের আগে সামনে আসে পাকিস্তানের টুর্নামেন্ট বয়কট করার প্রসঙ্গ। গতকাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়, অর্থাৎ টস ৮টা নাগাদ। টসের সময় পর্যন্ত পাকিস্তান দল টিম হোটেলেই অবস্থান করছিল। ফলে জোরালো হতে থাকে বয়কট করার গুঞ্জন। যদিও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান খেলেছে। সালমান আগারা টসের আগে স্টেডিয়ামে উপস্থিত না হওয়ায় ম্যাচ পিছিয়ে যায় এক ঘণ্টা।
বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়ে যার অপসারণের দাবি তুলেছিল, সেই পাইক্রফটই পাকিস্তান ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন। সালমান আগাদের তাও খেলার কারণ হলো, পাইক্রফট নাকি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বয়কট করতে চেয়েও পরে খেলা, পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত বাচ্চামি মনে হয়েছে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মুরালি কার্তিকের।
আরও পড়ুন: উড়ে এসে বল পড়ল আম্পায়ারের মাথায়, তার বদলি হন বাংলাদেশের গাজী সোহেল
ক্রিকবাজে কার্তিক বলেন, ‘আমার একটা কথাই এখন মনে হচ্ছে, এটা পুরোপুরি বাচ্চামি। এছাড়া কিছু ভাবতে পারছি না। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ইচ্ছা হয়, সেটাই করেন। মেনে চলার দৃঢ় প্রত্যয় থাকতে হবে। আমার মনে হয় প্রত্যেকের উচিত জীবনে যে সিদ্ধান্ত নিবে, সেটার পেছনে লেগে থাকা।’
এশিয়া কাপ বয়কট করলে পাকিস্তানের ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতছাড়া হত। কার্তিক মনে করেন, এটা ভেবেই পাকিস্তান সিদ্ধান্ত বদল করেছে। ‘কারণ হ্যান্ডশেক ইস্যুতে আপনি দেখলেন ১৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে। মনে হয় কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চারাও এমন ব্যবহার করে না।’