২০২৪ সালের জুলাইয়ের একেকটা দিন ছিল রাতেও চেয়েও অন্ধকার। প্রতিটি মুহূর্ত যেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।
রক্তাক্ত জুলাইয়ের ২২ তারিখ, তৃতীয়দিনের মতো দেশজুড়ে চলছিলো কারফিউ। এর মধ্যেই তড়িঘড়ি করে কোটাপ্রথা সংস্কার করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তৈরি করা প্রজ্ঞাপন অনুমোদন দেয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন শেখ হাসিনা। একই বুলি আওড়ান তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও। সে সময় তিনি বলেন, উস্কানীদাতারা নিজস্ব উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত ২১ জুলাই: আদালতের রায়, ছাত্রদ্রোহ ও প্রাণহানির দিন
২২ জুলাই আরও ১৩ জন নিহতের খোঁজ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে পাঁচজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সব মিলিয়ে ছয় দিনে নিহত হন ১৮৭ জন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে তরুণ ছাত্রসমাজ। শুরু থেকে ছাত্ররা তাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় ছিল। তাদের ওপর আক্রমণ হলেও তারা পিছু হটেনি। কারণ সেই মুহূর্তে পিছিয়ে যাওয়ার গিয়ে জীবন বিলিয়ে দেয়াটাই শ্রেয় ছিল।
এদিকে, গোটা দেশে চলতে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিরুনি অভিযান। ১৭ থেকে ২২ জুলাই রাজধানীসহ সারা দেশে দুই হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ২৩ জুলাই পর্যন্ত কারফিউ এবং সরকারি ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিন নিখোঁজ চার সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবদুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার ও সহসমন্বয়ক রশিদুল ইসলাম রিফাতের খোঁজ পেতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
]]>